ডেস্ক নিউজ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, দেশে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হোক, সেটা আমরা চাই না। আমরা চাই বিচারের মাধ্যমে তার (অপরাধীর) শাস্তি হোক। তবে মাঝে মধ্যে এক দুইটি দুর্ঘটনা ঘটে যায়। সরকার এ বিষয়ে সজাগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে সিলেট সদর উপজেলার বাইশটিলা জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন একথা বলেন।
২০২০-২১ সালের অর্থবছরের রাজস্ব বাজেটের অর্থায়নে ও সিলেট সদর উপজেলার মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে এই পোনামাছ অবমুক্তকরণ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। এদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন প্রধান অতিথি হিসেবে এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের সাহেব বাজার এলাকার পাঠানগাঁওয়ে ‘রাতারগুল অর্গানিক এগ্রো টেকনোলজি পার্ক এন্ড রিসোর্টে’র উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে প্রথম তিনদিনের সিলেট সফর শেষে দুপুরে বিমানে তিনি ঢাকায় ফিরে যান।
করোনা পরিস্থিতিতে শাহেদ, সাবরিনার মত অপরাধীদের কারণে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও দুর্নীতি হয়। আমাদের দেশে যখনই অন্যায়-দুর্নীতি হয় তখনই সরকার সরকার শক্ত হাতে দমন করে। সরকারের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী অপরাধীদের কঠোরভাবে দমন করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, দেশে করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরুতে আমরা যখন ভেন্টিলেশন, মাস্ক, পিপিই এসব নিয়ে ব্যতিব্যস্ত; তখন আমাদেরকে প্রধানমন্ত্রী বললেন- আপনারা এগুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকেন অসুবিধা নাই। তবে দেশে একটি মানুষও যেন এই করোনাকালে না খেয়ে থাকে না। তিনি সেদিকে তীক্ষ্ম নজর রাখতে সবাইকে নির্দেশ দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে বলেছেন, অনেকে আছে যাদের নাম অনুদানের তালিকায় নেই, তারাও যেন সহযোগিতা পায়।
তিনি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করেছি এবং যার ফলে এই মহামারির দীর্ঘদিনের কঠিন পরিস্থিতিতেও দেশে একজন মানুষও না খেয়ে থাকেননি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, দেশে পানি ও মানুষ দুটো সম্পদ। এই দুটি সম্পদকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। করোনাকালে প্রবাসী দেশে ফেরার আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কর্মসংস্থানের অভাব না হয়, সেভাবে দেশকে গড়ে তুলতে হবে। রাতারগুল অর্গানিক এগ্রো টেকনোলজি পার্ক এন্ড রিসোর্ট এমন একটি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র। এখানে এলাকার বহুলোক কাজ করতে পারবেন। এটি অত্যন্ত খুশির বিষয়।
এসব কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) শেখ আজবাহার আলী, সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মহুয়া মমতাজ, সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট সালেহ আহমদ সেলিম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার প্রমুখ।