শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রায়হান কবীর ঘরে ফেরায় স্বজনের মাঝে আনন্দের বন্যা

ডেস্ক নিউজ : কাতার ভিত্তিক আল-জাজিরা টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেয়ার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় গ্রেফতার হওয়া নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার প্রবাসী যুবক রায়হান কবির বাংলাদেশে ফিরছেন। শনিবার (২২ আগস্ট) রাত ১টার দিকে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় ফিরেন রায়হান।

মালয়েশিয়ায় ২৭ দিন পুলিশের হেফাজতে ছিলেন রায়হান কবির।  আজ শনিবার ভোর পাঁচটায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার শাহী মসজিদ এলাকায় নিজ বাসায় ফিরেন রায়হান কবির। পরিবারের সদস্যরা বিমানবন্দর থেকে রায়হানকে নিয়ে বাসায় ফিরেন। এসময় রায়হান খুব ক্লান্ত ছিল। হাতকড়া লাগিয়েই পুলিশ রায়হানকে নিয়ে মালয়েশিয়ার বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন অতিক্রম করে।

মালয়েশিয়ায় পুলিশ ভাল আচরণ করলেও রায়হানের দিনগুলো কেটেছে মানসিক চাপের মধ্যে। তবে তাকে যে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাচ্ছে বিমানবন্দরে আসার আগ পর্যন্ত জানতে পারেননি। বিমানের টিকেটও পুলিশ কেটে দিয়েছে। রায়হান কবির কয়েকদিন পর সংবাদ সম্মেলন করে মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের বাস্তব জীবন এবং তার রিমান্ডের বিষয়ে কথা বলার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন।

রায়হান কবীর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, আল জাজিরার সাক্ষাৎকারে মালয়েশিয়া সরকারের বিরুদ্ধে তিনি কিছুই বলেননি। শুধু প্রবাসীদের দুঃখ কষ্ট ও সমস্যার কথা তুলে ধরেছিলেন। পুলিশ একটি ভুল তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটক করেছিল। ফলে চার্জ গঠন করতে পারেনি। তাকে ফিরিয়ে আনায় পরিবারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।

এদিকে ছেলে ফিরে আসার খবরে রায়হান কবিরের পরিবারের স্বজনদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে। মা রাশিদা বেগম রায়হার বাড়ি ফেরায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩ জুলাই মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশি অভিবাসনকারীদের দুঃখ দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে আল-জাজিরা টেলিভিশনে বক্তব্য দিয়ে দেশটির সরকারের রোষানলে পড়েন  রায়হান কবির। এই অভিযোগে ৮ জুলাই মালয়েশিয়া সরকার তার ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করে এবং ২৪ জুলাই তাকে গ্রেফতার করে ১৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেখানকার পুলিশ।

এ ঘটনার পর দেশ-বিদেশে তুমুল সমালোচনা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। তবে জিজ্ঞাসাবাদে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ গঠন না হওয়ায় অভিবাসন আইনে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় মালয়েশিয়া সরকার।

এই বিভাগের আরো খবর