বুধবার, ২০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে কারণে আত্মহত্যা করেছেন অভিনেত্রী লরেন

বিনোদন ডেস্ক : ‘ইন্টারনেট শেষ হলেও, নো টেনশন’ এয়ারটেলের বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত এই সংলাপটি অনেকেরই জানা। বিজ্ঞাপনটি দিয়ে আলোচনায় আসেন তরুণ মডেল ও অভিনেত্রী লরেন মেন্ডেস। রোববার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। যদিও এ খবর সবার জানা, তবে কী করণে এই পথ বেঁছে নিলেন তা নিয়ে চলছিল নানান গুঞ্জন। ধারণা করা হচ্ছে- মা-বাবার সাথে অভিমান করেই তিনি চলে গেছেন না ফেরার দেশে।

৩০ আগস্ট (রোববার) সকাল সাড়ে সাতটায় বারিধারার কালাচাঁদপুরের নিজের বাসায় আত্মহত্যা করেন অভিনেত্রী। বিষয়টি নিশ্চিত করেন গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম।

তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, বাবা-মায়ের সাথে অভিমান করেই সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন লরেন। এসময় তার মা বাসায় ছিলেন না। ঝুলন্ত অবস্থা থেকে লাশটি নামায় তার বাবা। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

তিনি আরো জানান, লরেন মেন্ডেস খুব স্বাধীনচেতা ছিলেন। বাবা-মায়ের সাথে বাইরে যাওয়া নিয়ে তার প্রতিদিনই মনোমালিন্য হতো, প্রায়ই কথা কাটাকাটি করতেন তিনি। পরিবারের ধারণা, এসব থেকেই লরেন অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এ তারকার পুরো নাম লরেন মেন্ডেস, ধর্মে খ্রিষ্টান।  ক্যারিয়ার শুরু করেন মডেলিং দিয়ে। তবে পরিচিতিটা পান এয়ারটেলের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। বিজ্ঞাপন ছাড়াও তাকে দেখা গিয়েছে মিউজিক ভিডিওতে। ‘ঘোর’ শিরোনামে তপু খান ও কণার একটি দ্বৈত গানের ভিডিওতে মডেল হিসেবে হাজির হন তিনি।

এছাড়াও ‘তোমার পিছু ছাড়বো না’ শিরোনামের একটি গানের মডেল হয়ে বেশ আলোচনায় আসেন। এরপর তাকে দেখা গিয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‌‘অমর প্রেম’ এ। সবশেষ তাকে দেখা যায় সঞ্জয় সমদ্দার পরিচালিত ‘ট্রল’ নাটকের শুটিংয়ে। গত ২৬ আগস্ট অপূর্ব, তাসনিয়া ফারিনদের সঙ্গে এ নাটকের শুটিং করেছিলেন তিনি।

অল্পকিছুদিন আগেই মিডিয়ায় এসেছিলেন। এরইমধ্যে নিজের মিষ্টি চেহারায় একটা জায়গা করে নিচ্ছিলেন। এয়ারটেলের কয়েকটা বিজ্ঞাপনে তিনি বেশ পরিচিতি লাভ করেন। সংগীত শিল্পী নাহিদের গান ‘তোমার পিছু ছাড়বো না’ দিয়ে বেশ আলোচিত হন। মাহতিম সাকিবের সাথে গুডলাক বলপেনের বিজ্ঞাপন করে নজড় কাড়েন লরেন। কিন্তু খ্যাতি যখন ছড়িয়ে পড়ার অপেক্ষায় ঠিক তখনই অভিমান ও রাগ তাকে থামিয়ে দিলো।

তার এই চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না কেউই।

নির্মাতা হাবিব শাকিল নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, তোমার কিসের এতো তাড়া ছিলো? তোমার জীবন টাই বা কতো দূর গিয়েছিলো? এতো তাড়াতাড়ি জীবনের অর্থ জেনে গিয়েছিলে যে জীবন সম্পর্কে আগ্রহ হারিয়ে  গেলো? তোমার বন্ধুরা কারা? তারাও কি তোমার মতনই জীবনের সবটুকু জেনে গিয়েছে? আচ্ছা খুব জানতে ইচ্ছে করছে কারা তোমার সাথে রাত-দিন জীবনের ছোট এই রাস্তায় হেটে ছিলো? তোমাকে এতো প্রশ্ন  করছি কেনো?

নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী লিখেছেন, Loren.. কী আর বলবো! যেখানেই থাকো ভালো থেকো।

এই বিভাগের আরো খবর