আল-ফেরদৌস (রানা),ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:ধর্মীয় উৎসবের দুটি দিক। একটি শাস্ত্রীয় আনুষ্ঠানিকতা, প্রার্থনা প্রভৃতি। আরেকটি সামাজিক দিক। শাস্ত্রীয় আনুষ্ঠানিকতা শুধু ধর্মাবলম্বী ভক্তদের জন্য। কিন্তু উৎসবের সামাজিক–সাংস্কৃতিক দিকটি খুব বড়। সেটা ধর্মবর্ণ–নির্বিশেষে সবার জন্য।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা হয় শরৎকালে। তাই এর নাম শারদীয় দুর্গোৎসব। শাস্ত্রমতে, এই সময় দেবী দুর্গা মর্ত্যে আসেন, দশমীর দিন বিসর্জনের মধ্য দিয়ে তাঁর বিদায়।
দুর্ভিক্ষ, মহামারি প্রভৃতি দুর্যোগ মানুষের পৃথিবীতে থাকবেই। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, দুর্গতি থেকে মানুষকে মুক্তি দিতেই দুর্গতিনাশিনীর মর্ত্যে আগমন। এবার মাতৃরূপী দেবী দুর্গা এসেছেন দোলায়। পূজার পরে মা যাবেন গজে। করোনার প্রতিকূলতার মধ্যে দুর্গাপূজা হচ্ছে। ভক্তরা অঞ্জলি দেবেন। মায়ের আরতি হবে। ভক্তদের প্রত্যাশা, পৃথিবী হবে আবার দুর্গতিমুক্ত।
আজ শনিবার হরিপুর উপজেলার বিভিন্ন দুর্গাপূজা মন্ডব শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জননেতা মো: মাজহারুল ইসলাম সুজন।আরো উপস্থিত ছিলেন হরিপুর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কায়উম পুস্প সহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগ, যুবলীগ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীবিন্দ।।
এ উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও ২ আসনের সকল জনগন কে এক শুভেচ্ছা বার্তায় সুজন বলেন, বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। এখানে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবাই নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে পালন করে আসছে। আমাদের এই চিরায়ত ঐতিহ্যকে ধারণ করে দেশকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।