এম ইসলাম দিলদার, বাঘা,রাজশাহীঃ রাজশাহীর বাঘায় টিএসপি সারের সংকট দেখিয়ে ৬শত টাকা দাম বৃদ্ধির ফলে বিপাকে পড়েছে সাধারণ কৃষকেরা। বর্তমানে উপজেলার মাঠে বিভিন্ন রকম সবজি, আলু,পেঁয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন ফসল লাগাচ্ছেন কৃষকরা। এ সময়ে চাষীরা পর্যাপ্ত টিএসপি ও ডিএপিসার পাচ্ছেন না। বরাদ্দ কম পাওয়া গেছে জানিয়ে সবজী মৌসুমে সিন্ডিকেট করে সারের দাম বাড়ানোরও অভিযোগ রয়েছে ডিলারদের বিরুদ্ধে।
উপজেলার বেংগাড়ী এলাকার আশাদুল ইসলাম আলু ও পেঁয়াজ-রসুন চাষী জানালেন, এ বছর আমি ১৫ বিঘা আলু ১৮ বিঘা রসুন এবং ২০ বিঘা পেঁয়াজের চাষাবাদ করছি এতে আমার টিএসপি সারের জন্য অতিরিক্ত প্রায় ৩২ হাজার টাকা খরচ বেড়েছে। টিএসপি সার যেখানে ছিল ১১শত টাকা বস্তা, এখন ১৭ শত টাকা দাম নিলেও প্রয়োজনমতো পাওয়া যাচ্ছে না। এবার চাষআবাদে আমরা কৃষক অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবো।তাছাড়াও প্রয়োজন মতো টিএসপি ও ডিএপি সার পাওয়া যাচ্ছে না।
প্রতিবছরের মতো এবারও আগাম সবজী চাষ শুরু করেছেন বাঘা উপজেলার কৃষকেরা। এর মধ্যে এখন শুরু হয়েছে টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, মুলাসহ শীতকালীন সবজী চাষাবাদ। তাদের প্রত্যেকেরই পাঁচ থেকে দশ বস্তা টিএসপি সারের প্রয়োজন হয়। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সার ব্যবহার করেন সকল কৃষকই।
চাষের মৌসুমের শুরু এবং শেষের দিকে সার পেতে সমস্যা না হলেও, ভরা মৌসুমে ডিলাররা সিন্ডিকেট করে সারের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন স্থানীয় কৃষক।
এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সলতান বলেন,বাঘা উপজেলায় চকরাজাপুর ইউনিয়ন ছাড়া ৬টি ইউনিয়নে সার মূূল ডিলার ১জন এবং সাব ডিলার ৯জন করে রয়েছে। বাঘা এবং আড়ানী পৌরসভায়
আলাদা ২ জন ডিলার রয়েছেন। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ডিলারদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন এবং সরকারি ১১শত টাকা টিএসপি প্রতি বস্তার দাম নির্ধারণ থাকায় অতিরিক্ত কোনো মূল্যে সার ডিলার বিক্রি করতে পারবে না।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃৃৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান আরো বলেন,সিন্ডিকেট করে কোন ডিলার সারের দাম বেশি নিলে যে কোনো ক্রেতা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ জানালে আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।