বদঅভ্যাস অভ্যাসের কারণে মানুষের কর্মক্ষমতা কমে যায়। আপনার এমন কিছু বদঅভ্যাস আছে যা ধীরে ধীরে আপনার কর্মক্ষমতাকে কমিয়ে দিচ্ছে। আপনি বুঝেও উঠতে পারবেন না কীভাবে এ অভ্যাসগুলো আপনার গড়ে উঠল। বদঅভ্যাস আপনার কাজে ধীরগতি আনে, সঠিকভাবে কোনো কাজ করতে দেয় না এবং আপনার সৃজনশীলতাকে ধ্বংস করে দেয়। কিছু বদঅভ্যাস আছে যা অন্যগুলো মানুষের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এখানে ৮ বদঅভ্যাসের উল্লেখ করা হলো যা এড়িয়ে চললে আপনি হয়ে উঠবেন আরও বেশি কর্মক্ষম।
বিছানায় ফোন বা ট্যাবের ব্যবহার :-
ট্যাব বা ফোনের পর্দা থেকে এক ধরনের নীল আলো বের হয় যা আপনার ঘুম আসতে বাধা দেয়। সকালের সূর্যের আলোয় এই নীল আলো থাকে যা আমাদের দেহমনকে চনমনে করে তোলে। সন্ধ্যার আলোয় এই নীল আলো থাকে না। ফলে শরীর ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি শুরু করে। এ সময় ট্যাব, ফোন ও ল্যাপটপ ব্যবহার করলে ঘুম আসতে সমস্যা হয়।
অতিরিক্ত সময় ইন্টারনেট ব্যবহার :-
১৫ মিনিট টানা আপনি যদি কোনও কাজে মনোযোগ দেন তাহলে মনোযোগ আরও বাড়ে সে কাজের প্রতি। একই ক্ষেত্রে ইন্টারনেট টানা ১৫ মিনিট ব্যবহার করলে অন্য কাজের প্রতি মনোযোগ আপনার কমে যায়।
নিখুঁত কাজ :-
নিখুঁত কাজের জন্য আমরা অনেক সময় আসল কাজই করি না, যা হওয়া উচিত নয়। আগে মূল কাজ বা পরিকল্পনা করতে হবে। তারপর নিখুঁত করার চেষ্টা করতে হবে।
সভা :-
সভা বা মিটিং এড়িয়ে চলতে হবে। যারা বেশি কর্মক্ষম তারা সভা বা মিটিং এড়িয়ে চলে। কারণ তারা জানে মিটিংয়ে কী বিষয়ে আলোচনা হবে এবং কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাই তারা বেশি সময় কাজ করে কাটিয়ে দিতে চায়।
ইমেইল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেওয়া :-
কোনো ইমেইল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিলে এতে অনেক সময় নষ্ট হয়। যারা অনেক বেশি কর্মক্ষম তারা একটা নির্দিষ্ট সময়ে ইমেইল দেখে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা কোম্পানির ইমেইলের ক্ষেত্রে তারা এলার্ট তৈরি করে।
এলার্মের স্নুজ বোতাম :-
এলার্মের শব্দে সকালে ঘুম থেকে না উঠে যদি স্নুজ বোতামে চাপ দেন এবং আবার ঘুমিয়ে যান, তবে এর পরের এলার্মে আপনার ঘুম ভাঙলেও ক্লান্তি যাবে না। সারাদিন অবসাদ ঘিরে বসে থাকবে। বরং এলার্ম বাজার সঙ্গে সঙ্গে ঘুম থেকে উঠে যাওয়া ভালো।
একইসঙ্গে অনেক কাজ করা :-
একইসঙ্গে অনেক কাজ করলে আপনার মনে হবে সময় বেঁচে যাচ্ছে। কর্মক্ষমতা বাড়ছে। কিন্তু এর ফলে অনেক কাজের কোনটাতেই আপনার মনোযোগ পুরোপুরি থাকছে না। কাজ সঠিকভাবে হয় না। তাই যে কোনো এক কাজে মনোযোগ দিতে হবে।
কঠিন কাজ করা বন্ধ করে দেওয়া :-
কোনো কাজ কঠিন দেখে তা বন্ধ করে দিলে নিজেরেই ক্ষতি। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের মানসিক শক্তি কমে গেলে আমরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি। এক ধরনের অবসাদ চলে আসে। এক্ষেত্রে কঠিন কাজ সকালে করলে সতেজ মন নিয়ে করা যায়।