ডেস্ক নিউজ : ‘মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে যখন প্রতিক্রিয়াশীল চক্র চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে তখনো বিএনপি নেতারা কথা বলতে চান না। ভাস্কর্য ইস্যুতে তাঁদের বর্ণচোরা রাজনীতি জাতির কাছে এখন স্পষ্ট।’আজ বুধবার (৯ ডিসেম্বর) নিজের সরকারি বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ হোক তা মনে মনে বিএনপিও চায় না। রাজনৈতিক কারণেই তাঁদের কোনো আগ্রহ নেই কারণ বঙ্গবন্ধুর হত্যার নেপথ্যে তাঁদের যোগসাজশে খুনিদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল।
বিএনপি ভাস্কর্য নিয়ে কথা বলতে চায় না- এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে যখন প্রতিক্রিয়াশীল চক্র চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে তখনও বিএনপি নেতারা প্রকাশ্যে কথা বলতে চায় না। এর মধ্য দিয়ে প্রকারান্তরে বিএনপি তাদের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অবস্থানকেই স্পষ্ট করেছে। তিনি বলেন, বিএনপি প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর অপতৎপরতাকেই সমর্থন দিচ্ছেন। তাঁরা ভেতরে ভেতরে উসকে দিচ্ছেন আবার পৃষ্ঠপোষকতাও করছেন। সুতরাং বিএনপি মহাসচিব কোন মুখে উগ্রবাদীদের বিরোধিতা করবেন?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের রাজনীতি এখন দুই ধারায় বিভক্ত; একদিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির রাজনীতি, অপরদিকে দেশের অব্যাহত এগিয়ে যাওয়ার গতিকে রুদ্ধ করার রাজনীতি। একদিকে ৭১-এর অসাম্প্রদায়িক চেতনা, অপরদিকে ৪৭-এর সাম্প্রদায়িক চেতনা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম তৈরির নিরলস প্রয়াস চলছে তখন চিরাচরিত পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার এবং অস্থিতিশীলতা তৈরির অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী যে রাজনৈতিক বলয় রয়েছে দেশে, তার প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ভাস্কর্য ইস্যুতে বিএনপির বর্ণচোরা রাজনীতি জাতির কাছে এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে। এসময় লাখো শহীদের অমর বীরত্ব গাঁথায় নির্মিত এ দেশ নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র জনগণ সফল হতে দেবে না বলে হুঁশিয়ার করে দেন ওবায়দুল কাদের।