মুকুট দাস মধু,তাড়াইল(কিশোরগঞ্জ): কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশির সাথে মারামারি করে উভয় পক্ষই পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছে থানায়।
জানা গেছে, উপজেলার জাওয়ার ইউনিয়নের বোরগাঁও গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪মে) ইফতারের পূর্ব মুহুর্তে প্রতিবেশির হাঁস প্রতিপক্ষের পুকুরে আসাকে কেন্দ্র করে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়।এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও দেশিয় অস্র নিয়ে মারামারিতে লিপ্ত হয়।এতে উভয় পক্ষের ৭/৮ জন আহত হয়ে ওই দিন রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়।অবস্থার অবনতি হওয়ায় উভয় পক্ষের ৪ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল রাত ১২ টার দিকে কিশোরগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে সুবিচার পাওয়ার আশায় আজ শুক্রবার (১৫ মে) উভয় পক্ষই তাড়াইল থানায় মামলা দায়ের করেন।মামলা নং ১৩ এবং ১৪।
ঘটনার বিস্তারিত জানার জন্য মামলার এক পক্ষের বাদী বোরগাঁও গ্রামের মৃত মেহের আলীর ছেলে মহর উদ্দিন আহত হয়ে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান,বোরগাঁও গ্রামের প্রতিবেশি আছিম উদ্দিনের ছেলে স্বপন মিয়া(৪০), আবদুল মালেকের ছেলে আতিকুল ইসলাম(২০), মৃত আক্কাছ আলীর ছেলে ছাইদুল ইসলাম(৩৬) এবং আবদুল গনু মিয়ার ছেলে এরশাদ মিয়া(২৫) সহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামী করে তাড়াইল থানায় মামলা করেন।মামলা নম্বর ১৪।ঘটনার বিবরণে তিনি বলেন,প্রতিবেশির হাঁস আমার পুকুরের ক্ষতি সাধন করায় তাঁদের হাঁস পুকুর থেকে উঠিয়ে নিতে বলায় ১ নম্বর আসামী( স্বপন মিয়ার) হাতে থাকা দাঁ দিয়ে আমাকে আচমকা হামলা করে মাথায় ও চোখের উপড়ে কোপ মারে এবং সাথে সাথেই অন্যান্য আসামীগন আমার অপর দুই ছেলে জাহাঙ্গীর আলম,জাকারিয়া এবং আমার স্ত্রী হাসনা আক্তারকে দাঁয়ের কোপ এবং লাঠিসোটা ও রোহার রড দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।তিনি আরও বলেন,আসামীরা দাঙ্গা প্রকৃতির লোক।জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আসামীদের বিরুদ্ধে বিগত ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর ধারা ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬/১১৪ দন্ডবিধিতে তাড়াইল থানায় একটি মামলা করা হয়েছিল।যাহার মামলা নম্বর ১১।উক্ত মামলা আদালতে চলমান আছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তাড়াইল থানার সেকেন্ড অফিসার আনিছুর আশেকীন মামলার সত্যতা স্বীকার করে জানান,মারামারিতে উভয় পক্ষই আহত হয়েছে এবং উভয় পক্ষই পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছেন।আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।উভয় পক্ষকে শান্তি শৃংঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বলা হয়েছে।আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
প্রতিপক্ষের কাউকে না পাওয়ায় তাঁদের বক্তব্য দেয়া যায়নি।