বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ আসছে

ডেস্ক নিউজ : চার দিন ধরে জমে থাকা কুয়াশা আরও ঘন হয়ে উঠেছে। আজ সকালে সূর্যের এক ঝলক দেখা মিললেও দিনের তাপমাত্রা খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। তবে শীতের অনুভূতি বেড়েই চলেছে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, চলতি কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতি আরও দু’দিন স্থায়ী হতে পারে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে আগামী ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বর চলতি শীত মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আগে দেশের কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, ‘আরব সাগর থেকে আসা জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ুর কারণে কুয়াশা আরও দু-একদিন থাকতে পারে। সোম-মঙ্গলবার থেকে কুয়াশা কেটে গিয়ে সূর্যের দেখা পাওয়া যেতে পারে।’

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সোমবার সূর্যের দেখা পাওয়ার পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও ধীরে ধীরে তাপমাত্রা আবারও কমতে থাকবে। বিশেষ করে পশ্চিমা লঘুচাপ ছড়িয়ে পড়ায় সারাদেশেই শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে। তাপমাত্রা দ্রুত কমে উত্তরাঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল সীতাকুণ্ডে ১৪ দশমিক ৩ এবং রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে ঘন কুয়াশার কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। সাথে আছে হিমেল বাতাস।

কুয়াশার চাদরে ঢাকা উত্তরের জেলা রংপুর। দুপুরেও দেখা মিলে না সূর্যের। হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে শীত। দিনের বেলায়ও হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। সহায়-সম্বলহীন হতদরিদ্ররা পড়েছেন বিপাকে।

এলাকাবাসীরা জানান, অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পড়েছে, সে ঠাণ্ডায় খুবই কষ্ট হচ্ছে। কাপড়-চোপড় গায় দিলেও ঠাণ্ডা যাচ্ছে না। বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে অনেক কষ্টে আছি।

সিরাজগঞ্জেও ক’দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। শীত বস্ত্রের অভাবে কষ্টে আছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

স্থানীয়রা জানান, গেলো বারের চেয়ে আরও বেশি শীত পরেছে এবার। শীতের কম্বল বা গরম কাপড় তো আমরা পাই না, কেনার মতোও সামর্থ্য নাই।
ঠাণ্ডায় কাহিল গাইবান্ধার খেটে খাওয়া মানুষ। কাজ করতে না পেরে অনেক শ্রমিক শহরমুখী হচ্ছেন। বেশি বিপাকে নদী তীরবর্তী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে বসবাসকারী হতদরিদ্ররা।

চুয়াডাঙ্গায় তিন দিন ধরে বিকেল থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারদিক। দিনে তাপমাত্রা কিছুটা সহনীয় হলেও কমে যায় রাতে। তাপমাত্রার ওঠানামায় শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। পুরনো কাপড়ের দোকানে ভিড় বেড়েছে নিম্নআয়ের মানুষের।

এই বিভাগের আরো খবর