নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর নগরীর ফুদকিপাড়া চাউলপট্রির মেসার্স আলাউদ্দিন ট্রেডার্স চালের আড়ৎ মালিক মো আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে এক চাল ব্যবসায়ীর ১৬ লক্ষ টাকা চাউলের পাওনা দামের টাকা আত্নসাত করে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৬ লক্ষা টাকা চাল বাঁকি নেয়ার পরে টাকা না দিয়ে পাওনা দার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বারকচর গ্রামের আবু বাক্কারের ছেলে মো হুমায়ন কবির (৪৮) সর্বশান্ত হয়ে দিশে হারা হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় রাজশাহী রাজশাহী বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগি হুমায়ন কবির।
অভিযোগ সূত্রে জানান গেছে, নগরীর ফুদকিপাড়া চাউলপট্রিতে মেসার্স আলাউদ্দিন ট্রের্ডাস নামে এক চাউলের আড়ৎ মালিক কাশিয়াডাঙ্গা থানা হড়গ্রাম নতুন পূর্বপাড়া এলাকার মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে আলাউদ্দিন র্দীঘদিন যাবত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বারকচর গ্রামের আবু বাক্কারের ছেলে মো হুমায়ন কবির (৪৮) এর কাছে থেকে তার আড়তে চাল নিতেন।
বিভিন্ন সময় আলাউদ্দিনের চালের আড়ৎ এ চাল দিলেও টাকা না দিয়ে বিভিন্ন রশিদের মাধ্যেমে লিখিত টাকা ও চালের পরিমান উল্লেখ করে টাকা প্রদান না করে হুমায়ন কবির কে প্রদান করতেন আড়ৎ মালিক আলাউদ্দিন। কৌশলে হুমায়ন কবিরের কাছে থেকে বাকীতে আলাউদ্দিন ট্রেডার্স এর মালিক আলাউদ্দিন ১৬ লক্ষ টাকার চাল হাতিয়ে নেন। গত দুই বছর যাবত প্রায় ১৬ লক্ষ টাকার চাল আলাউদ্দিন বাকীতে হুমায়ন কবিরের কাছে থেকে হাতিয়ে নেয়। কোন সময় কি পরিমান চাল আলাউদ্দিন ট্রেডার্স কে দিয়েছেন হুমায়ন তার টাকা পরিষধ না করে ট্রেডার্সের প্যডে লিখিত আকারে হুমায়ন কবিরের কাছে প্রদান করতে আড়ৎ মালিক আলাউদ্দিন। এসব পাওনা টাকা রশিদ হুমায়ন কবিরের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। কিন্তুু আড়ৎ মালিক কোন রশিদ দেখাতে পারেনি। আড়ৎ মালিক আলাউদ্দিনের কাছে পাওনা টাকা হুমায়ন কবির চাইতে গেলে উল্টা আলাউদ্দিন তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে র্দীঘদিন যাবত প্রতারণা করে আসছে চাল ব্যবসায়ীর সাথে। হমায়ন কবিরের বাড়ি চাঁপায়নবাবগঞ্জ হওয়ার সুবাদে তার টাকা আত্নসাত করে প্রতারণা করতে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগির।
এদিকে, গত ১০/১০ ২০২০ ইং তারিখ সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে নগরীর ফুদকিপাড়া মেসার্স আলাউদ্দিন ট্রেডার্স চালের আড়ৎ গিয়ে তার কাছে থেকে চালের পাওনা টাকা পরিশোধ করার জন্য চায় হুমায়ন কবির। এতে এক পর্যায়ে আড়ৎ মালিক আলাউদ্দিন হুমায়ন কবিরের সাথে মারমুখী আচরণ করে এবং তাকে কোন টাকা দিবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেয়। তার কিছু দিন পরে আলাউদ্দিন তার চালের আড়ৎ গোপনে বিক্রি করে পালিয়ে যায় এবং পাওনা দার হুমায়নের সাথে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। হুমায়ন কবির এতো গুলি পাওনা টাকা নিয়ে প্রতারণা শিকার হয়ে সর্বশান্ত হয়ে দিশে হারা হয়ে পড়ে। এমন প্রতারণার শিকার যে আর কেউ না হয় এবং তার পাওনা টাকা ফেরত পেতে আলাউদ্দিন কে আসামী করে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বিষটি দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তার পাওনা টাকা উদ্ধার করে দিবে বলে প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তার প্রতি আনুরোধ জানান তিনি।
এবিষয় মেসার্স আলাউদ্দিন ট্রেডার্সের মালিক আলাউদ্দিনের এর নাম্বারে ০১৯১৩৮৪৯৩০৩ একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
এ ঘটনায় বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মন জানান, এ বিষয় একটি অভিযোগ দিয়েছেন পাওনা দার হুমায়ন কবির। অভিযোগটি তদন্ত করছে থানার এসআই আব্দুল মতিন। দ্রুত এ বিষয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ওসি।