১। ৫০ বছরের বেশি বয়সের মহিলাদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যান্সার বেশি দেখা যায়।
২। যে মহিলার জরায়ুতে ক্যান্সার হয়েছে অথবা তার মা বা বোনের ব্রেস্ট ক্যান্সার থাকে তবে তার ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৩। যাদের অল্প বয়সে (১২ বছর পূর্বে) ঋতুস্রাব শুরু হয় অথবা দেরিতে (৫০ বছরের পরে) রজঃনিবৃত্তি বা মাসিক বন্ধ হয়, তাদের ব্রেস্ট ক্যান্সারের সম্ভাবনা রয়েছে।
৪। যাদের প্রথম সন্তান বেশি বয়সে হয় অথবা যাদের সন্তান হয়নি এমন মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
৫। মাসিক বন্ধ হওয়ার পর যেসব মহিলা হরমোনজাতীয় ওষুধ ব্যবহার করেন তাদেরও ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৬। গর্ভপাত ব্রেস্ট ক্যান্সারের একটি কারণ হিসেবে চিহ্নিত।
৭। খাদ্যাভ্যাস ব্রেস্ট ক্যান্সারের আরো একটি কারণ উচ্চ চর্বিযুক্ত খাদ্য কিংবা পোড়ান খাবার ব্রেস্ট ক্যান্সারের জন্য দায়ী।
৮। অধিক ওজন কিংবা মোটা মহিলাদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রবণতা বেশি।
৯। একটানা অনেক দিন জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন ব্রেস্ট ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
১০। শিশুকে বুকের দুধ পান না করানো হলে ব্রেস্ট ক্যান্সারের সম্ভাবনা থাকে।
১১। মানসিক চাপ
১২। যেসব মহিলা ধূমপান, জর্দা, সাদাপাতা, ইত্যাদি তামাকজাতীয় দ্রব্য সেবনে অভ্যস্ত তাদের ব্রেস্ট ক্যান্সারের সম্ভাবনা রয়েছে।
১৩। মদ্যজাতীয় পানীয় পানে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে।
১৪। অবাধ যৌনাচারের সাথে ব্রেস্ট ক্যান্সারের সম্পর্ক রয়েছে।
১৫। যারা যক্ষ্মা বা শরীরের অন্য কোনো অঙ্গের ক্যান্সারের রেডিয়েশন থেরাপি ব্যবহার করলে তাদের ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে।
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক ক্যান্সার সোসাইটি ফিচার।ফোন: ০১৫৫৬৬৬৩১৯৬৫
কেন শিশুদের মধ্যে ডায়াবেটিস বাড়ছে
ইংল্যান্ডে ছ শ’রও বেশি শিশু কিশোর টাইপ ২ ডায়াবেটিসের জন্য চিকিৎসা নিচ্ছে, এবং এই সংখ্যা দিন দিন আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। আক্রান্তদের সিংহভাগই দক্ষিণ এশীয় এবং আফ্রিকান বংশোদ্ভূত। কারণ, দারিদ্রের কারণে এসব পরিবারের মধ্যে বাচ্চাদের অস্বাস্থ্যকর খাবার দেয়ার প্রবণতা অপেক্ষাকৃত বেশি।
এমনকী পাঁচ থেকে নয় বছরের বাচ্চাদের মধ্যেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা যাচেছ।
চিকিৎসকরা বলছেন, শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপে তারা উদ্বিগ্ন, কারণ এতে তাদের ভবিষ্যতে হৃদরোগ এবং কিডনির রোগে ভোগার হুমকি তৈরি হচ্ছে। এছাড়া, অকালে দৃষ্টিহীনতার ঝুঁকিও রয়েছে।
কেন শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে?
ডায়াবেটিসের সবচেয়ে বড় হুমকি ওজন বেড়ে যাওয়া। যেসব শিশু এই রোগ হচ্ছে তাদের দুই-তৃতীয়াংশেরই শরীরের ওজন বেশি। ইংল্যান্ডে ২০১৫-১৬ সালের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রাইমারি স্কুলের প্রথম শ্রেণীতে ১০ জনের মধ্যে একজন শিশু স্থূলকায়। ষষ্ঠ শ্রেণীতে এই সংখ্যা ছয়জনের মধ্যে একজন।
দক্ষিণ এশীয় এবং আফ্রিকান বংশোদ্ভূত পরিবারের শিশুদের মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি।
আক্রান্ত এবং ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের মেয়েদের সংখ্যা ছেলেদের চেয়ে দ্বিগুণ। আক্রান্তদের অধিকাংশের বয়স ১৫ থেকে ১৯।
বছরে বছরে শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। ২০১৩-১৪ সালে চিণ্হিত আক্রান্তের সংখ্যা যেখানে ছিল ৫০৭, গত বছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬২১। সরকারী একটি রিপোর্টে স্বীকার করা হয়েছে ডায়াবেটিসে ভোগা অনেক শিশুকে হয়ত এখনো চিহ্নিত করা যায়নি।
অভিভাবকরা কী করতে পারেন?
চিকিৎসকরা বলছেন, প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে শিশুদের শরীরে টাইপ ২ ডায়াবেটিস বেশী ক্ষতি করে।
সুতরাং বাচ্চাদের ওজন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিলে, ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। দ্রুত ওজন কমানোর জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া জরুরি। আর যদি দেখা যায় ইতিমধ্যেই শিশু আক্রান্ত হয়েছে, শরীর চর্চা থেকে শুরু করে খাওয়া দেওয়ার ব্যাপারে কঠোর শৃঙ্খলা পালন করতে হবে।
ব্রিটেনের রয়াল কলেজ অব চাইল্ড হেলথের চিকিৎসকরা বলছেন, নিত্যদিনের জীবনধারায় পরিবর্তন ঘটিয়ে টাইপ ২ ডায়াবেটিস ঠেকানো সম্ভব। এমনকী উপসর্গও বদলে ফেরা সম্ভব। ড জাস্টিন ওয়ার্নার টিভি-পত্রিকায় অস্বাস্থ্যকর তৈরি খাবারের বিজ্ঞাপনের ওপর বিধিনিষেধের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, বাচ্চাদের খাবারে চিনি এবং চর্বির পরিমাণ কমানো জরুরি।
ব্রিটিশ সরকার তৈরি খাবারের উৎপাদকদের আগামী চার বছরের মধ্যে চিনির পরিমাণ ২০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দিয়েছে।