আলু খেলেই মোটা হওয়ার ভয়! তাই অনেকেই আলুকে চিরতরে ত্যাগ করেছেন। কিন্তু সব শাক-সবজিরই যেমন কিছু দোষ থাকে, তেমন গুণও থাকে প্রচুর। কাঁচা আলু কেটে ত্বকে লাগালে, সেই রস ত্বকের ঔজ্জ্বল্য আনে, চোখের তলার কালিও তুলে দেয়। এই গুণটা অনেকেরই জানা। কিন্তু জানেন কি, আলুর রস রোজ খেতে পারলে তা ম্যাজিকের মতো কাজ দেয়। আসুন আলুর রসের ৭টি অব্যর্থ গুণ জেনে রাখা যাক।
বাতের ব্যথার অব্যর্থ ওষুধ
জয়েন্টে ব্যথায় কষ্ট পান অনেকেই। ব্যথা মাঝেমধ্যে এতটাই চরমে ওঠে যে রাতের ঘুম কেড়ে নেয়। প্রচুর ওষুধ খেয়েও কোনও সুরাহা হচ্ছে না? তাহলে আলুর জ্যুস চেষ্টা করতে পারেন। এমনকি বাতের ব্যথা না হলেও, প্রতিদিন খালিপেটে আলুর জ্যুস খেতে পারলে ভবিষ্যতে কষ্ট পাবেন না।
হজম ক্ষমতা ও রক্ত চলাচল বাড়ায়
আমাদের শরীরে যত রকম সমস্যা হয়, তার অন্যতম কারণ রক্ত চলাচলের অভাব। পর্যাপ্ত রক্ত চলাচলের অভাবে কোষে অক্সিজেন সাপ্লাই কমে যায় ফলে এনার্জিও কমতে থাকে। সঙ্গে কমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। হজম ক্ষমতাও কমে যায়। আলুর জ্যুস এই সমস্যা দূর করে। আলুর জ্যুস যেমন হজম ক্ষমতা বাড়ায়, তেমনই রক্ত চলাচলও বাড়ায়। ফলে শরীর থাকে চনমনে ও সতেজ।
শরীরের pH ব্যালেন্স রক্ষা
প্রাকৃতিক ভাবেই আমাদের শরীরের pH ব্যালেন্স নিজে থেকেই ঠিক থাকে। কিন্তু অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ঘুমের অভাব, অবসাদ, দুশ্চিন্তার জেরে pH ব্যালেন্স নষ্ট হয়। যার জেরে শরীরের মেটাবলিজম ঠিক মতো হয় না। মেটাবলিজমের অভাবেই বেশির ভাগ রোগ দানা বাঁধে। আলুর জ্যুস pH ব্যালেন্স ঠিক রাখে।
ব্যথা কমায়
অনেক সময় শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি হলে হাঁটু, ঘাড়-সহ বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা হয়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একগ্লাস আলুর জ্যুস খেলে এই সমস্যা থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া যায়। ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে দেয় না। বাড়তি ইউরিক অ্যাসিড প্রস্রাবের সঙ্গে বের করে দেয়।
গ্যাস্ট্রাইটিস কমিয়ে দেয়
কিছু খেলেই অ্যাসিডিটি হয়ে যাচ্ছে? বুক জ্বালা, বদহজমে ভুগছেন দীর্ঘদিন? কমে যাবে আলুর রসে। প্রতিদিন দু চামচ আলুর জ্যুস খেয়ে দেখুন। ব্যাপক ফল পাবেন।
কোলেস্টেরল কমায়
অতি মাত্রায় কোলেস্টেরলের সমস্যা মেটায় আলুর রস। রোজ খেতে পারলে শরীরে কোলেস্টেরল মাত্রা একেবারে ঠিক থাকে। কী ভাবে তৈরি করবেন?
খুব সহজ। কাঁচা আলু কেটে নিন চিপসের মতো। তারপর অল্প জল দিয়ে মিক্সি চালিয়ে দিন। গন্ধটা খারাপ লাগলে, বিট, গাজরের রস বা আদার রস মেশাতে পারেন। সকালে উঠে খালি পেটে ছোট গ্লাসে একগ্লাস ও রাতে শোওয়ার আগে এক গ্লাস খেয়ে নিন।
সতর্কতা
আলুতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে। তাই যদি আপনার শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি হয়, ডাক্তার যদি নিষেধ করে পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খেতে, তাহলে আলুর জ্যুস এড়িয়ে যান। কিংবা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।