করলার রয়েছে নানামুখী উপকার। রয়েছে অনেক গুন। ড. তপন কুমার দে তার ‘বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় গাছ-গাছড়ার’ বইয়ে তুলে ধরেছেন এর ওষুধী গুণাবলি।
তুলে ধরা হলো-
১) অ্যালার্জি হলে– দুচা-চামচ করে উচ্ছে রস রোজ দুবেলা খাবেন।
২) অরুচিতে– এক চা-চামচ উচ্ছে পাতার রস একটু গরম করে সিকি কাপ পানির সঙ্গে মিশিয়ে সকাল-বিকেল খাবেন।
৩) প্লীহায়- দুচা-চামচ উচ্ছে রস একটু গরম করে সিকি কাপ পানির সঙ্গে মিশিয়ে সকাল-বিকেল খাবেন।
৪) ভিটামিনের অভাব হলে- তিন থেকে চার গ্রাম উচ্ছে বিচি খুব মিহি করে পিষে, তার সঙ্গে সাত থেকে আট চা চামচ পানি মিশিয়ে ছেঁকে নিয়ে সে পানি খাবেন, সুফল পাবেন।
৫) রক্তপিত্তে- আট থেকে ১০টি উচ্ছে ফুল নিয়ে রোজ সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যায়, তিনবার করে চিবিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
৬) ডায়াবেটিস- প্রতিদিন সকালে করলা রস খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৭) বাত ব্যধিতে- তিন চা-চামচ উচ্ছে পাতার রস একটু গরম করে, তাতে পানি মিশিয়ে সকাল-বিকেল খাবেন ।
৮) বিষযুক্ত (দুষিত) ক্ষতে – লতা-পাতা ও মূলসহ উচ্ছে গাছ শুকিয়ে চূর্ণ করে ক্ষতের ওপর দিলে এবং উচ্ছে গাছ সেদ্ধ পানি দিয়ে ক্ষত ধুয়ে দিলে, কয়েক দিনের মধ্যেই ক্ষত শুকিয়ে যায়।
৯) গুঁড়ো কৃমিতে- বয়স্কদের জন্য দু’চামচ এবং শিশু বা অল্প বয়স্কদের আধা চা- চামচ উচ্ছে পাতার রস একটু করে পানি মিশিয়ে সকাল ও বিকেলে খেতে দিন, কৃকি কমে যাবে।
পরিচিতি-
এটি বর্ষজীবী লতা, তবে গাছের মূল মাংসল। ফুল হলদে, বর্ষায় উচ্ছে লতা মাচায় বা বেড়ায় তুলে না দিলে গাছ মরে যায়। আরেক রকম উচ্ছে গাছ আছে , একে বলা হয় করলা।
উচ্ছের বীজ বোনা হয় চৈত্র-বৈশাখ মাসে। গাছ বেরুলে মাচায় তুলে দিতে হয় বর্ষা আসার আগে, অন্যথায় গাছ মরে যায়। করলা উচ্ছে লতাগুলো একটু মোটা এবং এর পাতাও আকারে বড় হয়।
আমাদের দেশীয় চলতি ভাষায় একে উস্তা বলা হয়। উচ্ছে পাতা,মূল, বীজ ও ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত করা হয়।