হাতের নাগালের কাছেই পাওয়া যায় ফলটি। দামেও সস্তা। চিকিত্সা গুণের এক মহৌষধ। ফলটি নিয়মিত খেলেই সারবে ডায়াবেটিস।
পেয়ারার সঙ্গে বাঙালির বন্ধুত্ব বহু প্রাচীন। ডাঁসা, মিষ্টি পেয়ারায় নুন চেটে কামড় দেয়ার লোভনীয় আস্বাদ খাদ্য রসিকের কাছে বড়ই প্রিয়। শুধু বাঙালিদের মধ্যেই নয়, পেয়ারা ব্যাপক জনপ্রিয় গোটা এশিয়ায়। সুস্বাদু এই ফলের চিকিত্সা গুণের জন্যই প্রচুর পেয়ারা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। চিকিত্সা বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস রুখতে পেয়ারার বিকল্প হয় না। আবার পেয়ারার পাতা রক্তচাপ, হৃদরোগে কাছে ঘেঁষতে দেয় না।
দেখে নেয়া যাক পেয়ারা ও পেয়ারা পাতার উপকারিতাগুলো-
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ফলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ও মিনারেল থাকে পেয়ারায়। বিশেষ করে ভিটামিন সি। অনেকের ধারণা লেবুতে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন থাকে। কিন্তু বহু লোক জানেন না, একটি পেয়ারায় লেবুর চারগুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে।
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ সমৃদ্ধও পেয়ারা। পাতিলেবুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি ভিটামিন এ থাকে পেয়ারায়। পেয়ারায় থাকে ভিটামিন B2, ভিটামিন K এবং E। শুধু ভিটামিনই নয়, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফেরাস, লোহা, তামা, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়ামের মতো প্রচুর খনিজও থাকে এই ফলে। পেয়ারার আরও একটি সুবিধা হলো, এই ফলের চাষ করতে রাসায়নিক প্রয়োজন হয় না। ফলে সব সময়ই খাঁটি। রোজ খাওয়ার পর দিনে একটি পেয়ারা খেতে পারলে ডায়াবেটিস ধরে না। ব্লাড সুগার নর্মাল করে দেয়।
পেয়ারার মতোই সমান উপকারী পেয়ারা পাতা। এশিয়া ছাড়াও দক্ষিণ আমেরিকা ও মেক্সিকোয় প্রাচীন চিকিত্সায় পেয়ারা পাতার উল্লেখ পাওয়া গেছে। সংক্রমণ ঠেকাতে পেয়ারা পাতার জুড়ি মেলা ভার। পরীক্ষায় দেখা গেছে, পেয়ারা পাতায় কিছু প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে, যা প্যাথোজেনস মেরে ফেলে। প্যাথোজেনস-এর জন্যই ডায়রিয়া হয়। একই সঙ্গে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে ও হার্ট ভালো রাখতেও সাহায্য করে পেয়ারা পাতার নির্যাস।
পেয়ারা ও পেয়ারা পাতার নির্যাস নিয়মিত খেতে পারলে রোগ নিয়ে আর দুশ্চিন্তা করতে হবে না।