শনিবার, ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনিল ওষুধ নিয়ে রামদেবের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের যোগগুরু রামদেবের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা হয়েছে থানায়। করোনিল ওষুধ নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে রামদেব, আচার্য বালকৃষ্ণ-সহ মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে রাজস্থানের জয়পুরে।

শুক্রবার (২৬ জুন) জয়পুরের জ্যোতিনগর থানায় রামদেব, আচার্য বালকৃষ্ণ, বিজ্ঞানী অনুরাগ বারষ্ণে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স (নিমস)-এর চেয়ারম্যান বলবীর সিংহ তোমর এবং ডিরেক্টর অনুরাগ তোমরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। জ্যোতিনগর থানার স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) এই এফআইআরের সত্যতা স্বীকার করেছেন।

এফআইআরে বলা হয়েছে, রামদেব-সহ মোট ৫ জন করোনিল নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ৫ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার ৪২০ ধারাসহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিশ্বে যখন কোভিড-১৯ এর ওষুধ নিয়ে নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে, সেই সময় রামদেবের প্রতিষ্ঠান পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ দাবি করে, তাদের ওষুধ ‘করোনিল’-এর প্রয়োগে কোভিড আক্রান্তরা সেরে উঠছেন। পতঞ্জলির এই দাবিতে শোরগোল পড়ে যায় গোটা ভারতে। ভারতের আয়ুষ মন্ত্রণালয় তড়িঘড়ি ওই ওষুধ সম্পর্কে সবিস্তার তথ্য চেয়ে নোটিস পাঠায় পতঞ্জলিকে। সেই সঙ্গে এই ওষুধ সংক্রান্ত সব রকম বিজ্ঞাপন বন্ধ করারও নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

যাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন জয়পুর নিমস-এর চেয়ারম্যান বলবীর সিংহ। তিনি দাবি করেন, “কোভিড আক্রান্ত রোগীদের উপর পরীক্ষা চালানোর সব রকম অনুমতি ছিল তাদের। ১০০ জন রোগীর উপরে এই ওষুধের পরীক্ষা করার পর দেখা গেছে ৬৯ শতাংশ রোগী তিন দিনে সেরে উঠেছেন। আর ১০০ শতাংশ সেরে উঠেছেন সাত দিনের মধ্যে।”

পতঞ্জলি এবং নিমস-এর এই দাবিকে ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত। দেশে প্রতিনিয়ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কী ভাবে করোনার মোকাবিলা করা যায়, কোন ওষুধ দিয়ে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো যায়, এ নিয়ে যখন নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে তখন এমন দাবি বিভ্রান্তিকর বলেই অভিযোগ তুলেছেন অনেকে।

দু’দিন আগে এই একই অভিযোগে বিহারের এক আদালতে রামদেব এবং বালকৃষ্ণের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। সেই অভিযোগে বলা হয়, রামদেবরা এ ধরনের দাবি করে মানুষের জীবনকে বিপন্ন করছেন। তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারিসহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা দেয়া হয়। সেই মামলার শুনানি আগামী ৩০ জুন।

বিহারের সেই মামলার রেশ কাটতে না কাটতেই জয়পুরে ফের মামলা হওয়ায় বিপাকে রামদেবের পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ।

সূত্র: আনন্দবাজার

এই বিভাগের আরো খবর