মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়া বাজারের অদূরে পূর্ব পাড়া (দয়ের পাড়া) জামে মসজিদে পবিত্র ইসলাম ধর্মের ৫ টি স্তম্ভের মূল স্তম্ভ কালেমা তৈয়বা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’র অবমাননা করার অভিযোগ উঠেছে।
ধর্মান্ধ আহসে হাদিস মতালম্বী কতিপয় নালায়েক মসজিদের মেহরাবের উপর থেকে কালেমা তৈয়ব খচিত ষ্টিকারটি রাতের আঁধারে ভেঙ্গে চুরমার এবং পদদলিত করা হয়েছে বলে মহল্লাবাসীরা জানান,। ধর্মীয় অনুূভূতিতে আঘাত করার মত এ রকম গর্হিত কাজের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ধর্মভীরু মুসলমানগণ।বেদাত এ ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার রাতে।
মহল্লাবাসী সূত্রে জানা গেছে, তেঁতুলবাড়ীয়া দয়ের পাড়া জামে মসজিদ স্থাপনের পর দীর্ঘদিন যাবত ইমাম হানাফী মাযহাবের মতাদর্শের মুসুল্লীবৃন্দ নামায আদায় করে আসছিলেন। কিছুদিন আগে আহলে হাদিসের কতিপয় ধর্মব্যবসায়ীরা ক্ষমতার দাপটে জোর পূর্বক মসজিদের কর্তৃত্ব হাতিয়ে নেয়।
চলে পবিত্র কোরআন-হাদিস নিয়ে অপব্যাখ্যা।গ্রামবাসীর উদ্যোগে বিশেষ করে চাকুরীজীবী ও প্রবাসীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবং তাদের আর্থিক সহযোগিতায় মসজিদের অবকাঠামো উন্নত করতে টাইলস লাগানোর কাজ চলছে।এমনি এক পর্যায়ে অল্প শিক্ষিত ধর্মীয় জ্ঞান বর্জিত একজন মাওলানা পার্শ্ববর্তী করমদি গ্রামের আব্দুল হালিম মিথ্যা ও ধর্ম বিরোধী ফতোয়া দিয়ে মুসুল্লীদের বিভ্রান্তি করছে।তিনিই নাকি আহলে হাদিসের শীর্ষ নেতা আব্দুল্লাহ আল গালিবের লেখা ক্ষুদ্র চিটি বই পড়ে বলেছেন ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ কোন কালেমা নয় , তাই এটা মসজিদে লিখে রাখার দরকার নেয়।
পবিত্র কালেমা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ অবমাননা করায় নাম প্রকাশে মহল্লার কয়েকজন জানান, যারা এরকম গর্হিত কাজ করেছে আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির ১১ সদস্যের মধ্যে ক্যাশিয়ার হাজী আব্দুল লতীফ জানান, আমাদের ইমাম বলেছেন, মসজিদে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ খচিত ষ্টিকার রাখা ঠিক না। নবীজি যখন, যেখানে, যেভাবে ইবাদত করেছেন। আমরা সেইভাবে করতে চাই।
একইভাবে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী আব্দুল মান্নান জানান, আমরা আমাদের নেতা গালিব সাহেবের কাছে শুনে কলেমার বাণী লাগানো স্টিকার হুকুম দিয়ে ভেঙ্গে ফেলেছি।কমিটির সভাপতি হাজী আদম আলী একই কথা জানান।তিনি বলেন, আমাদের অজান্তে একটি মহল ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ খচিত টাইলস লাগিয়েছিল।এটা হাদিস কোরআনে কোথাও নেই বলে আহলে হাদিসের নির্দেশে আমরা পরে রাতে লোকজন দিয়ে উপড়িয়ে ফেলেছি।
এব্যাপারে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ ওবাইদুর রহমানের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার মত কাজ করা ঠিক হয়নি। তিনি এরকম ঘটনায় মহল্লাবাসীর উত্তেজনা প্রশমনে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যদের তাৎক্ষনিকভাবে খোঁজখবর নিতে ঘটনা স্থলে পাঠান।বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে অনেকেই পবিত্র কালেমার অবমাননা করার জন্য আইনী সহায়তা চাইবেন বলে জানিয়েছেন।