আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কোভিড ঊনিশে বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা ৮ লাখ ছুঁইছুঁই। আক্রান্ত দুই কোটির বেশি। ভাইরাসের নিরাপদ ভ্যাকসিন আবিষ্কারে, কাজ করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। রাশিয়া প্রথম কোভিড ভ্যাকসিন আনলেও তা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। তবে একটু দেরিতে হলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আশার কথা শোনালো। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে- অন্তত ৯টি ভ্যাকসিন অনুমোদনের দৌড়ে এগিয়ে আছে।
এদিকে রাশিয়ার ভ্যাকসিন নিয়ে সমালোচনা হলেও, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর প্রশংসা করেছেন। আর ভ্যাকসিন উৎপাদনে ব্রিটিশ ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রা-জেনেকার সঙ্গে চুক্তি করেছে আর্জেন্টিনা ও মেক্সিকো। প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে ভ্যাকসিন নেবে ইউরোপীয়ান কমিশনও। এছাড়া চীনের ভ্যাকসিনও রয়েছে সাফল্যের দোড়গোড়ায়।
করোনার টিকা নিয়ে শুরু থেকেই কাজ করছে চীন। দেশটির সিনোফার্মের ভ্যাকসিনের সাফল্য অনেক দূর এগিয়েছে। সম্প্রতি সৌদি আরবে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
আগস্টের শেষ সপ্তাহে রুশ ভ্যাকসিন দেশটির চিকিৎসক ও শিক্ষকদের প্রয়োগ করা হবে। তবে এ ভ্যাকসিন তড়িঘড়ি করে অনুমোদন দেয়ায় ৫২ শতাংশ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এটি নিতে প্রস্তুত নন বলে জানান। তিন হাজারেরও বেশি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের ওপর চালানো এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রেও এ ভ্যাকসিন নিয়ে জোর সমালোচনা চলছে। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, রুশ ভ্যাকসিন নিয়ে তার আশার কথা শোনান।
নভেম্বর বা ডিসেম্বরের আগে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের অনুমোদন পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির ন্যাশনাল ইন্সটিটিউটস অব হেলথের প্রধান ফ্রান্সিস কলিন্স।
ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রা-জেনেকা অক্সফোর্ডের সম্ভাব্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আর্জেন্টিনা ও মেক্সিকোয় উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে। যা লাতিন আমেরিকার বেশিরভাগ দেশগুলোর জন্য ব্যবহৃত হবে।
এদিকে, ভ্যাকসিনের ১০ কোটি ডোজ পাওয়ার জন্য অ্যাস্ট্রা-জেনেকার সঙ্গে চুক্তি করেছে ব্রাজিল। প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন নেবে ইউরোপীয়ান কমিশনও।