শুক্রবার, ২০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদ্মা সেতুর পরামর্শকের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ল

ডেস্ক নিউজ : পদ্মা সেতুর নির্মাণ ও নদীশাসন তদারকিতে নিয়োগকৃত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কেইসির মেয়াদ আরো ৩৪ মাস বাড়ানো হচ্ছে। এতে কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানটিকে অতিরিক্ত ৩৪৮ কোটি টাকা দিতে হবে। পাশাপাশি সেতু প্রকল্পের মূল সেতু নির্মাণ ও নদীশাসন কাজের মেয়াদ ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে। আজ বুধবার অনুষ্ঠেয় ‘সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির’ বৈঠকে এসংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এর আগে প্রকল্পের মেয়াদ ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ বাড়ানোর কারণে চলতি আগস্ট পর্যন্ত কেইসির প্রাপ্য অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬০৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে মূল সেতু নির্মাণ ও নদীশাসন কাজ তদারকিতে মোট পরামর্শক ব্যয় দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৯৫৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মূল সেতু নির্মাণ ও নদীশাসন কাজ তদারকিকে ‘কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনের’ (কেইসি) মেয়াদ চলতি আগস্টে শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রকল্পের কাজ এখনো শেষ হয়নি। তাই পরামর্শক সেবার মেয়াদ আরো ৩৪ মাস বাড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি বর্ধিত সময়ের জন্য ‘কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট’ নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

পদ্মা সেতু নির্মাণকাজ পিছিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে সেতু বিভাগের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে, কনস্ট্রাকশন ফেইজ জিওটেকনিক্যাল ইনভেস্টিগেশন অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যের তারতম্যের কারণ মূল সেতুর ৪২ পিয়ারের মধ্যে ২২ পিয়ারের একটি অতিরিক্ত পাইল সংযোজন করে পিয়ারের নতুন নকশা করা প্রয়োজন পড়ায় সিডিউল অনুযায়ী নির্মাণকাজ ব্যাহত হয়েছে। এ ছাড়া ২০১৫ সালের নদীশাসন কাজের মাওয়া প্রান্তে বর্ষা মৌসুমে ৩ দশমিক ৫ থেকে ৪ মিটার সেকেন্ডে প্রবল স্রোতে পানি প্রবাহিত হওয়ার ৫ দশমিক ৭৯ লাখ ঘনমিটার দুটি ইরোসন হোলের সৃষ্টি হয়। এই দুটি গর্ত ভরাট করার কাজেও অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া সম্প্রতি প্রবল বন্যায় মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ব্যাপক ভাঙনের ফলে সেখানে রক্ষিত প্রায় ১২৫টি রোডওয়ে স্ল্যাব ও ১৯২টি রেলওয়ে স্টিঙ্গার বিম নদীতে পড়ে যায়। নির্মাণকাজ শেষ করতে দেরি হওয়ার এটিও একটি কারণ হতে পারে।

এই বিভাগের আরো খবর