প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (ইইসি) পরীক্ষা না থাকায় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিষয়টি তাদের বিদ্যালয়ের ওপর নির্ভর করবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ডিপিই’র মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, এ বছর পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া হবে না। তবে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করতে তাদের যতটুকু পড়ানো হয়েছে, তার ওপর মূল্যায়ন করতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উদ্যোগ নেবেন। প্রয়োজনে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। এ পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পঞ্চম শ্রেণি পাসের সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডিসেম্বরের আগে খোলা সম্ভব না হলে প্রাথমিক স্তরের সব শিশুকে অটো পাস দিয়ে সার্টিফিকেট দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।
তিনি বলেন, প্রাথমিকের নিজস্ব কোনো শিক্ষা বোর্ড না থাকায় সবকিছু প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে করতে হয়। এ বছর যেহেতু অষ্টম শ্রেণিরও কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না, তাই মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ডগুলো কীভাবে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করবে, সে বিষয়ে আমরা তাদের কাছে পরামর্শ নেব। আগামী সপ্তাহে অধিদপ্তরে এ সংক্রান্ত সভা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, গত ২৫ আগস্ট পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী-ইবতেদায়ি পরীক্ষা আয়োজন না করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আমরা শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাই না। তাই এ বছর সমাপনী-ইবতেদায়ি পরীক্ষা বাতিল করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রী এতে সম্মতি দেওয়ায় এবার এ স্তরে পরীক্ষা আয়োজন করা হবে না।