জিনিউজ৭১ প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেছেন, যারা স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে পারবেন তারা মার্কেট খোলা রাখবেন। আর যারা পারবেন না তারা বন্ধ রাখলেও সমস্যা নেই। বুধবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান। এর আগে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে দোকানপাট ও শপিং মল খোলার সিদ্ধান্ত জানিয়ে গত ৪ঠা মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়।
ওই চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আগামী ১০ই মে থেকে শপিং মল ও দোকানপাট খোলা যাবে। তবে তা বিকাল চারটার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। দোকান মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, দোকান ও শপিং মল সীমিত আকারে খোলা নিয়ে কিছু মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, রমজান ও ঈদ উপলক্ষে সীমিত আকারে মার্কেট ও দোকানপাট খোলা রাখা যাবে। তবে ক্রয়-বিক্রয়কালে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে। বড় বড় শপিং মলের প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। শপিং মলে আগত যানবাহন অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা থাকতে হবে। বিকাল চারটার মধ্যে দোকানপাট ও শপিং মল বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা এখন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরকে করোনার হটস্পট বলে বিবেচনা করছি। সেক্ষেত্রে দোকানের স্ব-স্ব মালিক কিংবা স্ব-স্ব মার্কেট কমিটি যদি মনে করেন যে তাদের দোকানপাট বন্ধ রাখবেন, তাহলে এতে কারও কোনও সমস্যার কারণ নেই। প্রসঙ্গত, সরকার দোকান ও শপিং মল সীমিত আকারে খুলে দেয়ার ঘোষণা দিলেও রাজধানীর দুটি বৃহৎ শপিং মল যমুনা ফিউচার পার্ক ও বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স খুলবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে মার্কেট দুটির কর্তৃপক্ষ। এছাড়া, ঈদের আগে রাজধানীর নিউ মার্কেট ও চন্দ্রিমা মার্কেটও খুলবে না। মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।