ডেস্ক নিউজ : জীবিকা নয়, জীবনের জন্যই শিক্ষা প্রয়োজন, এ বাস্তবতা শিক্ষার্থীদের উপলব্ধি করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল শনিবার ময়মনসিংহের ত্রিশালে কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু: বাঙালির চেতনার বাতিঘর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন।
সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরিবেশ অনুকূলে এলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে, এতে সংক্রমন বেড়ে গেছে। এই অভিজ্ঞতার আলোকে আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরিস্থিতি অনুকূল হলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। আগে জীবন তারপর ভবিষ্যত নির্মাণ। বেঁচে থাকলে সব হবে। তাই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ধৈর্য ধরার আহবান জানাচ্ছি। ’
বিভেদের দেয়াল ভেঙে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের সেতুবন্ধনই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সোনালি অর্জনের নবদিগন্ত উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের দৃষ্টিশক্তিতে নেতিবাচক রাজনীতির ঘন কুয়াশা জমেছে বলেই সরকারের সাহসী ও ভালো উদ্যোগ বিএনপি দেখতে পায় না। তারা পূর্ণিমার রাতে অমাবস্যার আঁধার দেখেন। আন্দোলন ও নির্বাচনে পরাজিত হয়ে জনআস্থা হারিয়েছে দলটি। তাই গভীর হতাশায় মাঝে মধ্যে আড়াল থেকে মাঝে মধ্যে হাঁক ছাড়েন। যা আষাঢ়ের তর্জন গর্জন, এতে জনগণ বিভ্রান্ত হয় না।
নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় গভীর শোক এবং উদ্বেগ প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, পাথমিক ভাবে সংশ্লিষ্টরা এটাকে মসজিদে সরবরাহকৃত গ্যাস লাইন লিকেজ এবং মসজিদের এসির গ্যাস বিস্ফোরন বলে মনে করছেন। দগ্ধদের যথাযথো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনাটি নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা তা তদন্তের মাদ্যমে জানা যাবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, মসজিদে এসি বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দগ্ধদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেয়ার নির্দেশ ও সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। এ ঘটনায় হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে তাদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের সংসদ সদস্য রুহুল আমিন মাদানী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মো. জালাল উদ্দিন।
এছাড়াও আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার দে, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মাহবুব হোসেন, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাহাবউদ্দিন, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ বক্তব্য দেন।