নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাকরি ও ব্যাবসা করে আসছে উক্ত প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের কম্পিউটার প্রোগ্রামার মোঃ ইমদাদুল হক।
সূত্রমতে জানাযায়, ২০০৩ সালে ১ সেপ্টেম্বরে যোগদান করেন ইমদাদুল হক। রুয়েটে যোগদান করলেও তার পুরাতন ব্যাবসা তিনি বাদ দেননি। দীর্ঘদিন তিনি সাধারণ জনগনের সাথে ব্যাবসা করলেও তিনি এখন রুয়েট এর বড় মাপের ঠিকাদার। নিজেকে গড়ে তোলেন বড় মাপের সরবরাহকারী হিসেবে। নিজের পদন্নোতির সাথে সাথে গড়ে তোলেন নিজের মনোনীত সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট বলয়ের শক্তিতে রুয়েট প্রশাসানকে প্রভাবিত করে কম্পিউটারাইজের যাবতীয় মালামাল কেনার কাজটা হাতিয়ে নিচ্ছে নিশ্চিন্তে। এবং তিনি যে মালামালগুলো সরবরাহ করেন তা থাকে খুবই নিম্ন মানের। যা কয়েকদিন যেতে না যেতেই নষ্ট হয়ে যায়। তিনি শুধু রুয়েটে নয় বাইরে বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে এই মালামাল সরবরাহ করে থাকেন। এটি তার নিজের মুখের স্বীকারুক্তি রয়েছে। তিনি অফিস ডিউটি বাদ নিজের ব্যাবসা করতে ব্যস্ত থাকেন বেশির ভাগ সময়। এই সিন্ডিকেট বলয়ের শক্তিতে গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদের পাহাড়। রাজশাহী সিটি ভবনের পাশের মার্কেটে একাধিক দোকানঘর ক্রয়, ভদ্রা এলাকায় বাড়ি করার কয়েক কাঠা জমি ক্রয়, দামি প্রাইভেট কারসহ অজানা অনেক সম্পদ গড়েছেন তিনি এই ভাবে। শুধু তাইনা তিনি তার সম্পদের হিসাব অনুযায়ী সরকারকে ভ্যাট-ট্যাক্সও দেননা বলে অভিযোগ উঠেছে।
এবিষয়ে ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স কৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. ফারুক হোসেন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আসলে আমাদের যখন কম্পিউটার নষ্ট হয় বা কম্পিউটারের কোন কিছু লাগে এই ইমদাদুল হককে বললে খুব দ্রæত এনে দেন। আর মানের বিষয়ে আমরা খুবই কম বুঝি। তবে এই বিষয়ে কেন্দ্রিয় কম্পিউটার সেন্টারের প্রশাসক ড. মোঃ আলী হোসেন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, তিনি যে ব্যাবসা করেন সেটা জানি । চাকরিরত অবস্থায় কোন ব্যাবসা করতে পারেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি কোনভাবেই ব্যাবসা করতে পারবেন না। এবিষয়ে বাংলাদেশ বিশ^বিদ্যালয় মুঞ্জুরী কমিশন থেকে গত ৬ আগষ্ট ২০২০ তারিখে একটি নোটিশ জারি করেছে। সেখানে সু-ষ্পষ্ট লিখা রয়েছে যে এখানে চাকরিরত অবস্থায় কেউ কোন ব্যাবসার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ্যভাবে জড়াতে পারবেনা। তবে এরকম কোন অভিযোগ প্রমান হলে অবশ্যই প্রশাসন তার ব্যাবস্থা নিবেন।
এবিষয়ে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যায়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম শেখের নিকট টেলিফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের এখানে চাকরি করে কারো ব্যাবসা করার নিয়ম নেই। যদি আমরা জারতে পারি অবশ্যই তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।