তীব্র গরমে হাসফাস করছেন। শরীর ঘেমে নেয়ে একাকার। খুব ইচ্ছে করছে বরফঠাণ্ডা এক গ্লাস পানি পান করতে। কিন্তু এটা করার আগে একটু ভাবুন। চিকিৎসকরা কী বলছেন সেটা শুনে রাখুন।
প্রচণ্ড গরমে ঠাণ্ডা পানি আমাদের অনেক তৃপ্তি দেয়। কিন্তু তাই বলে ফ্রিজ থেকে বরফ জমা ঠাণ্ডা পানি পান করায় সতর্ক করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে আয়ুর্বেদশাস্ত্রে শুধু গরমে নয় যে কোনো সময়েই ঠাণ্ডা পানি পানে বেশি সতর্ক করা হয়েছে। তীব্র গরমে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পানি যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।
ক্ষতি কী?
বিশেষজ্ঞদের মতে, যেকোনো সময় ঠাণ্ডা পানি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এটি আমাদের পরিপাকতন্ত্রে বাধা দেয়। পেটে বদহজমের জন্য ঠাণ্ডা পানি অনেক সময় দায়ী। তাই খাবারের জন্য বা তৃষ্ণা মিটাতে ঠাণ্ডা পানির বদলে হালকা উষ্ণ পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
চলুন চিকিৎসকের ভাষ্যে জেনে নিই ঠাণ্ডা পানি পান না করার কারণ-
হজমে বাধা: বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠাণ্ডা বা কোমল পানীয় রক্তনালীর সংস্পর্শে এলে হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে। ঠাণ্ডা পানি পানি পান করলে আমাদের শরীরের শক্তি ক্ষয় হয়।
গলা ব্যথা: গরমে ঠাণ্ডা পানি পান করলে গলা ব্যথার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া সর্দিজনিত সমস্যাও দেখা দিতে পারে। শ্বাসনালীতে সমস্যাসহ নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়।
চর্বি গলতে বাধা: কিছু খাওয়ার পর ঠাণ্ডা পানি পান করলে, চর্বি জমে শক্ত হয়ে যায়। ফলে শরীর চর্বি ভাঙতে পারে না। যার কারণে শরীরে অনাকাঙ্ক্ষিত চর্বি জমে। তাই খাবারের পর অনেক চিকিৎসক ঠাণ্ডা পানি পান করতে নিষেধ করেন।
হৃদস্পন্দন কমায়: ঠাণ্ডা পানি আমাদের হৃদয়ের স্পন্দন কমিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। যখন ঠাণ্ডা পানি খাওয়া হয় তখন এর শীতলতা ভাব আমাদের স্নায়ুকে উদ্দীপ্ত করে হৃদয়ের স্পন্দন কমিয়ে দেয়।
পেট ব্যথা: যারা শরীরের ওজন হ্রাসের জন্য ব্যায়াম করেন, তাদের ঠাণ্ডা পানি পান না করতে পরামর্শ দেয়া হয়। ব্যায়ামের পর আমাদের দেহে তাপের সৃষ্টি হয়। তখন ঠাণ্ডা পানি পান করলে তা দেহের তাপমাত্রার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় না। এতে হজমের সমস্যাসহ পেটে ব্যথা হয়।