গত কয়েক দশকে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের খাদ্য তালিকায় তেলাপিয়া মাছ শীর্ষস্থানীয় সামুদ্রিক খাদ্য হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। বাংলাদেশেও তেলাপিয়া মাছটি খাদ্য হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ফিশারিজ ইনস্টিটিউটের তথ্য মতে, বর্তমানে চিংড়ি, স্যামন এবং ক্যানজাত টুনা মাছের পর তেলাপিয়া মার্কিনিদের চতুর্থ প্রিয় সামুদ্রিক খাদ্য। ধারণা করা হয়, চাষ করা সহজ এবং খরচ কম বলেই তেলাপিয়া মাছ খাদ্য হিসেবে দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। মাছটি সুস্বাদুও বটে। আর তাছাড়া প্রথমদিকে ধারণা করা হয়েছিল মাছটি স্বাস্থ্যকরও।
কিন্তু কিছু পুষ্টিবিদ গবেষণার পর অভিযোগ করেছেন, তেলাপিয়া মাছ স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর। ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েক ফরেস্ট ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিন একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করে। ওই গবেষণা পত্রে জনপ্রিয় মাছ সমুহের দেহে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়।
এতে দেখা যায় তেলাপিয়া মাছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য জনপ্রিয় সামুদ্রিক মাছের তুলনায় তেলাপিয়া মাছে অনেক কম পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আছে। এতে বরং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা একটি ক্ষতিকর অ্যাসিড (arachidonic acid)। এই অ্যাসিড দেহের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোকে মেরামতে সহায়ক। কিন্তু এটি আবার অ্যালঝেইমার এবং মস্তিষ্কে প্রদাহ সৃষ্টির মতো রোগেরও কারণ। তবে পুষ্টিবিদরা তেলাপিয়া মাছ খাওয়া পুরোপুরি বাদ দেওয়ার পক্ষে নন। বরং বেশি বেশি না খেতে বলেছেন। কারণ তেলাপিয়া মাছে রক্তে কোলোস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে রাখার মতো উপকারি উপাদানও রয়েছে।