আজ বিশ্ব ক্যানসার দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য – উই ক্যান, আই ক্যান। অর্থাৎ ‘আমরা পারি, আমি পারি’।
ক্যানসার একটি মরণঘাতী রোগ। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা নিলে রোগ থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে যেকোনো রোগেই প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। আর ক্যানসারের বেলাতেও প্রতিরোধ গুরুত্বপূর্ণ। ক্যানসার প্রতিরোধে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা।
ক্যানসার থেকে কীভাবে রক্ষা পাওয়া যায় সে বিষয়ে কিছু পরামর্শ জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. শাকিল মাহমুদ। আসুন জানি সেগুলো।
১.স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া: ক্যানসার প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ক্যামিক্যালমুক্ত হলুদ ফলমূল ও রঙিন শাকসবজি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে।
২. ফাস্টফুড এড়িয়ে যান: ফাস্টফুডে ট্রান্সফ্যাট থাকে। বিভিন্ন ক্যামিক্যালের সংস্পর্শে আসে বলে এতে ক্ষতিকর এরোমেটিক হাইড্রোকার্বন তৈরি হয়। এটি স্বাভাবিক ডিএনএ- এর গঠনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এতে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই ফাস্টফুডকে এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম।
৩. অস্বাস্থ্যকর রঙিন খাবার: অনেক সময় খাদ্য ব্যবসায়ীরা লাভবান হওয়ার জন্য খাবারে ফুড কালার না ব্যবহার করে টেক্সটাইল কালার ব্যবহার করে। এ ধরনের খাবারের মধ্যে রয়েছে আইসক্রিম, চকলেট, মিষ্টি, লাড্ডু, বাইরের খোলা চটকদার খাবার,রঙিন খাবার ইত্যাদি। এগুলো ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
৪. স্থূলতা: অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কারণে স্থূলতা হয়। এতে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি অনেকগুণ বেড়ে যায়। খাদ্যনালীর ক্যানসার, লিভার ক্যানসার, ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
৫. পরিবেশ দূষণ: পরিবেশ দূষণ থেকেও ফুসফুসের ক্যানসার, ত্বকের ক্যানসার, হাড়ের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, গাড়ির কালো ধোঁয়া নিঃসরণকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে, বনায়নের পরিমাণ বাড়াতে হবে এবং যতটুকু সম্ভব দূষিত এলাকা থেকে দূরে থাকতে হবে।
এ ছাড়া অতিরিক্ত রেডিয়েশনও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।অনেকে অযথাই এক্সরে করে। অতিরিক্ত এক্সরে করার জন্য জিনগত বিবর্তন ঘটে। এতে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
৬.নিয়মিত হাঁটা: ক্যানসার প্রতিরোধ করতে নিয়মিত হাঁটতে হবে বা ব্যায়াম করতে হবে। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে,অসুখ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
৭. ক্যানসার প্রতিরোধে ভ্যাক্সিন: কিছু কিছু ক্যানসার প্রতিরোধে এখন বাজারে ভ্যাক্সিন রয়েছে। যেমন, জরায়ুর ক্যানসার বা লিভার ক্যানসার। তাই ক্যানসার প্রতিরোধে ভ্যাক্সিনও ব্যবহার করতে পারেন।