সিগারেট, জর্দা, গুটখা আপনার নিত্যসঙ্গী? মুখে বাসা বাঁধছে মারণ রোগের জীবাণু। সাবধান। মুখের ক্যানসার থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সচেতন হোন। সতর্ক হতে পারবেন নিজেই। নিজেই পরীক্ষা করে জানতে পারবেন মুখের ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ।
ভারতে প্রতি ৬ ঘণ্টায় একজন করে মানুষ মুখ ও গলার ক্যানসারে মারা যান। বিশ্বের প্রায় ৫০ শতাংশ মুখের ক্যানসারের ঘটনা ঘটে এদেশে। প্রতি ৩জন মানুষের মধ্যে একজন তামাকজাত দ্রব্যের নেশা করেন।
প্রথম পর্যায়ে ধরা পড়লে নিরাময় সম্ভব। কিন্তু দ্বিতীয় পর্যায়ে চলে গেলে রোগীর হাতে থাকে মাত্র ৫ বছর।
মুখের ক্যানসারের প্রধান কারণ কী? দিনের পর দিন তামাকের নেশা ঠিক কীভাবে ক্ষতি করে মুখের? সবশেষে ক্যানসার।
মুখের ক্যানসার সাধারণত স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা জাতীয় হয়ে থাকে। সাধারণত ঠোঁটের ভিতরের দিক, জিভের পাশের অংশ, গালের ভিতরের দুদিক, মুখগহ্বরের উপরিভাগ। মুখের ক্যানসারের মধ্যে লালাগ্রন্থির টিউমারগুলোর মধ্যে প্লিওমরফিক অ্যাডনোমাই উল্লেখযোগ্য।
কিন্তু প্যারেটিভ লালাগ্রন্থির চেয়ে সাবলিঙ্গুয়াল ও সাবম্যান্ডিবুলার লালাগ্রন্থিতেই ক্যানসার বেশি হয়। কথা বলতে সমস্যা, খাবার গিলতে সমস্যা হতে পারে।
তবে প্রতিরোধ সম্ভব। কিন্তু প্রাইমারি স্টেজে গা করেন না কেউই। মুখের ক্যানসারের একাধিক ছোট ছোট লক্ষণ রয়েছে। নিজেই পরীক্ষা করে দেখা সম্ভব। সেই লক্ষণগুলো প্রকাশ পেলে সঙ্গে সঙ্গেই পরামর্শ নিতে হবে চিকিত্সকের। না হলে মৃত্যুর হাতছানি।