সোমবার, ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে সকল খাবার একেবারেই গ্রহন করা যাবে না গর্ভাবস্থায়।

গর্ভাবস্থায় মাকে প্রতিদিন নিয়ম করে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। কারণ মায়ের সুস্থতাই শিশুর সুস্থতা। তাই পরিবারের সবাইকে মায়ের সুস্থতার দিকে লক্ষ রাখতে হবে আর নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তবে সব ধরণের খাবার গ্রহণ করলেই চলবে না। চিকিৎসকরা গর্ভকালীন কিছু কিছু খাদ্য খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

সামুদ্রিক মাছ – সামুদ্রিক মাছ খাওয়া শরীরের জন্য উপকারি কিন্তু অধিক পরিমানে খেলে গর্ভের শিশুর স্নায়ু তন্ত্রের ক্ষতি হয়। কারন সামুদ্রিক মাছে পারদ জাতীয় পদার্থ থাকে। তাই সপ্তাহে ১২ আউন্স এর বেশি সামুদ্রিক মাছ গ্রহন করা উচিত নয়। কাঁচা ডিম ও দুধ – কাঁচা বা কম সিদ্ধ করা ডিম ও ফুটানো ছাড়া দুধ খাওয়া ঠিক না। এইগুলো থেকে জীবাণু সংক্রমণ হওয়ার আশংকা থাকে। তাই ডিম ভাল করে সিদ্ধ করে বা ভেজে খেতে হবে। আর দুধ ভাল মতো ফুটিয়ে পান করা উচিত।

ক্যাফেইন – চা, কফি ইত্যাদি ক্যাফেইন জাতীয় পানীয়। দৈনিক ২০০ গ্রামের বেশি ক্যাফেইন গ্রহন করা ঠিক না। অতিরিক্ত ক্যাফেইন এর কারনে কম ওজনের শিশুর জন্ম হয়, এছাড়া অকাল গর্ভপাতেরও ঝুঁকি থাকে। এছাড়া মাকে ধূমপান ও অ্যালকোহল গ্রহন থেকেও বিরত থাকতে হবে। এইগুলো মা ও বাচ্চা উভয়য়ের শরীরেরই ভয়ংকর ক্ষতি সাধন করে।

পনির – পনির খাওয়া উচিত নয়, কারন পনির তৈরিতে ব্যাকটেরিয়ার দরকার হয় আর গর্ভাবস্থায় ব্যাকটেরিয়া শরীরের ক্ষতি সাধন করতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এসব খাদ্য গ্রহন করতে হবে। অল্প রান্না করা বা সিদ্ধ করা মাংস – ভালোভাবে রান্না না করলে মাংসে থাকা ক্ষতিকর ‘ই-কোলাই’ ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয় না। এটা গর্ভস্থ ভ্রুণের জন্য খবই বিপদজনক।

কাঁচা পেঁপে – কাঁচা পেঁপের মধ্যে ল্যাটেক্স থাকে যা অকাল গর্ভপাত ঘটাতে পারে। গর্ভাবস্থায় খাবার নির্ধারণে তাই কাঁচা বা আধপাকা পেঁপে এড়িয়ে চলুন। আনারস – গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে আনারস গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়। গর্ভবতী মায়েদের তাই আনারস না খাওয়াটাই ভালো।

এই বিভাগের আরো খবর