শুক্রবার, ২০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন মানেই বাংলাদেশের জন্মদিন: সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিশোর বয়স থেকেই প্রতিবাদী ছিলেন তিনি। জেল-জুলুম, অত্যাচার ও ভয়ভীতির মুখেও ন্যায়ের পথে থেকেছেন অবিচল

শোষিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছেন বারবার। তাতেও তিল পরিমাণ আদর্শচ্যুত হননি তিনি। নেতৃত্বে দিয়েছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামের।
বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের মানুষ পেয়েছে একটি স্বাধীন দেশ। মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের বুকে। তাই বাঙালি জাতির হৃদয়ে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বেঁচে থাকবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির জনকের জন্মশত বার্ষিকীতে এমন অভিমত প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম প্রেসিডিয়ামের সদস্য জননেতা আব্দুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দৈনিক (সংবাদপত্রের নাম) সাথে একান্ত আলাপকালে তারা এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাঙালি জাতি কোনো দিন স্বাধীনতা অর্জন করতে পারতো না। সেই মহান নেতার জন্মদিন মানেই বাংলাদেশে জন্মদিন।’
তিনি বলেন, এক অর্থে বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশের ইতিহাস। তার জীবন ও ইতিহাস পর্যালোচনা করলেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিশেষ সময়ের কথা আমাদের মনে পড়ে। কিশোর বয়স থেকেই প্রতিবাদী ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সর্বদা সত্য ও ন্যায়ের কথা বলেছেন।
সত্য ও ন্যায়ের পথ থেকে তিনি কখনো দূরে সরে যাননি। ভীতি ও অত্যাচারের মুখেও সর্বদা সত্য ও ন্যায়ের পথে থেকে শোষিত মানুষের অধিকারের কথা বলেছেন এবং বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে সে অধিকার আদায় করেছেন। তিনিই বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতীক।’
ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করেছেন জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান।
কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধীরা তাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে সদ্য স্বাধীন দেশের মানুষের ভাগ্য অন্ধাকারের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। দখল করে ছিলো বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা।
স্বাধীনতাবিরোধীরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। মুছে ফেলতে চেয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস। বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাস থেকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কঠিন মুহূর্তে দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তার কন্যা প্রাধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রাজনীতির হাল ধরেন। নানা নির্যাতন ও আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যদিয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রয়েছেন তিনি। তার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আজ দৃশ্যমান।’
আব্দুর রহমান বলেন, ‘মুজিববর্ষের প্রথম দিনেই প্রতিটি তরুণকে বঙ্গবন্ধুর জীবন-আদর্শ সম্পর্কে জানতে হবে। তার স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা ও মূল লক্ষ্য কী ছিলো সেগুলো জানতে হবে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। এটাই হবে মুজিববর্ষে বর্তমান তরুণ প্রজন্মের অঙ্গীকার।’

এই বিভাগের আরো খবর