মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন ও “বঙ্গবন্ধু স্কয়ার” নামকরণ করলেন আব্দুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেছেন, বাঙালীর জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমৃত্যু আন্দোলন-সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি প্রতিটি বাঙালীর হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু বাঙালীর হৃদয়ে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বেঁচে থাকবেন।

আজ বুধবার বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ফরিদপুর রাজবাড়ি রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন কালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় ফরিদপুর রাজবাড়ি রাস্তার মোড়ের নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার নাম করণ করেন।

তিনি আরও বলেন, সদ্য স্বাধীন দেশকে এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বহুমূখি কর্মপরিপল্পনা গ্রহন করেছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ৭৫’এ ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেঁলে দেয়। নিষিদ্ধ করেছিল বঙ্গবন্ধুর সঠিক ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুর ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ও তার সকল স্মৃতি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের থেকে কেড়ে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধীদের কোনো পরিকল্পনাই সফল হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে। সকল যড়যন্ত্রের জাল ছিন্নভিন্ন করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা আজ দৃশ্যমান। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, নানা চড়াই-উৎরাই পারি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর পরিশ্রম করছেন। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছেন। এই সংগ্রামে আমাদের সকলকে সামিল হতে হবে । মনে রাখতে হবে, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি যেন মাথাচারা দিয়ে উঠতে না পারে। আজকের এই মাহেন্দ্রক্ষণে এটাই হবে আমাদের সকলের প্রতিশ্রুতি।

ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধনের কথা উল্লেখ্য করে আব্দুর রহমান আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে একদিন কথা হয়। তিনি অত্যন্ত আবেগঘন মন নিয়ে বলেছিলেন- ফরিদপুরের মানুষ বঙ্গবন্ধুর নামে কোন কিছু করে নাই। সেদিন নেত্রীর কথা শোনার পর আমি আমার চোখের পানি ফেলে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম- কিভাবে এমন একটা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে বাঁচিয়ে রাখা যায়। বঙ্গবন্ধুর নাম সারা বাংলাদেশের ঘরে-প্রান্তরে, পথে-ঘাটে ও বাজারে উচ্চারিত হবে। আমি যখন শুনেছিলাম- বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ বঙ্গবন্ধুর নামে করা যায় কি না। আমি একাডেমিক কাউন্সিলের সঙ্গে অতি সঙ্গোপনে গোপনে বৈঠক করি। বৈঠক করে আমি তাদেরকে সেদিন বলেছিলাম- আপনারা এই নামকে প্রস্তাবে নিয়ে আসেন , আপনাদের একাডেমিক কাউন্সিল থেকে পাশ করান এবং শেখ হাসিনার চূড়ান্ত অনুমোদন এনে দেয়ার দায়িত্ব আমার। তখন তারা সেদিন একাডেমিক কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধুর নামে আজকের মেডিকেল কলেজ খুলবার জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। সেই প্রস্তাবে আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছিলেন। আজ থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের নাম হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কথায়-বার্তায়, আচার-আচরনে, চলা- ফেরায় ও আমাদের দৈন্দিন কার্যক্রমে মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে জীবন্ত রাখতে হবে। আর সেই জন্যই বাংলাদেশের এই ছাত্রসমাজ ছাতলীগের নেতৃবৃন্দ, যুবলীগের নেতৃবৃন্দ, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সহ আমাদের এই পরিবার সকলে মিলে আমরা সেই ১০১ তম শতবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর নামকে আমরা আমাদের হৃদয়ে এমনভাবে স্থান করে নেব ঐ বঙ্গবন্ধুকে আর কেউ কোনদিন কেড়ে নিতে পারবে না। এসময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল হক ভোলা মাষ্টার। ফরিদপুর পৌর সভার মেয়র আমিতাব বোস। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান ও সাধারন সম্পাদক মো. ফাহিম আহমেদ।

এই বিভাগের আরো খবর