নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রানা বখতিয়ার বলেন, মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা নব্য রাজাকার, আল সামস, আল বদর, বিএনপি-জামায়াত চক্র গোষ্ঠী এই অপকর্মের মূল হোতা। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও তারা নিজেদেরকে বাঙালি বলে স্বীকার করে না, তারা কখনোই বাংলাদেশকে মানে নিতে পারেনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধেই যদি তাদের এতো আক্রোশ থাকে তাহলে তিনি তো আর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাননি তাহলে সেখানে কেন হেফাজতে ইসলাম নামের এই সন্ত্রাসী সংগঠনের সমর্থকরা রীতিমতো রণক্ষেত্র বানিয়ে ফেললো। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে দক্ষিণ এশিয়া ও বিশ্বের অনেক নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কোভিডের কারণে কয়েকজন এসেছেন, অন্যরা শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদি বিজেপির নেতা হিসাবে নয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে উদযাপনে যোগ দিতে এসেছেন। মোদির বাংলাদেশে আগমনকে কেন্দ্র করে হেফাজতের কয়েক দিনব্যাপী তাণ্ডবের ফলে এর অরাজনৈতিক খোলসটা প্রকাশে চলে এসেছে। হরতালের দিন হেফাজতে ইসলাম নেতাকর্মীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার, প্রেসক্লাব, জেলা পরিষদ ভবন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা পুলিশ লাইন, সার্কিট হাউস, ফায়ার সার্ভিসের কার্যালয়, সদর উপজেলা ভূমি অফিস, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ ভাষা চত্বর, কালীবাড়ি মন্দিরের প্রতিমা ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এই ধ্বংস লীলার দ্বারা প্রমাণ হয়েছে যে তাদের আসল উদ্দেশ্য মোদি ছিলো না তাদের আসল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানকে কিভাবে কালিমা লেপন করা যায়। তারা স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানানোর জন্য। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমন অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়েছিল মাত্র। ইসলাম কখনো এগুলো সমর্থন করে না, এ অপশক্তিকে রুখতে হবে। হেফাজত ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষকে উসকে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহলকে আগুন সন্ত্রাস করতে বাধ্য করছে। এরা ‘৭১ ও করেছিল দেশের বিরোধিতা এখনো করছে। এদের আর ছাড় দেয়া যাবে না। আজকে ইসলামের কথা বলে যে অপকর্মগুলো করা হচ্ছে, আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতির ওপর আঘাত হানা হচ্ছে। বৈশ্বিক মহামারি করোনার এই মানবিক সংকটের ভেতরেও তাদের ধারাবাহিক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। অতীতের ন্যায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ এ ধরনের সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত আছে।