বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে প্রবাসী নেতাকর্মীদের অবদান অনস্বীকার্য: আরিফুল হক চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিএনপি চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সিলেট সিটির সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, “বিএনপির নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পথ ধরে ছাত্র-জনতার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করতে গিয়ে বিশ্বের দেশে দেশে আমাদের অসংখ্য প্রবাসী নেতাকর্মী প্রাণপণ আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়েছেন। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের অত্যাচার, নির্যাতনের ভয়ে বছরের পর বছর তারা দেশে আসতে পারেননি। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আমাদের প্রবাসী নেতাকর্মীদের অবদান অনস্বীকার্য।”

 

এমসি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক ছাত্রনেতা, পর্তুগাল বিএনপির ১ম যুগ্ম আহবায়ক শেখ খালেদ আহমদ মিনহাজ দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে আগমন উপলক্ষে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্যোগে সংবর্ধনা প্রদান ও তার সৌজন্যে মধ্যাহ্নভোজ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে আরিফুল হক চৌধুরী উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

 

সোমবার বিকালে বালাগঞ্জ উপজেলার বোয়ালজুড় ইউনিয়নের বাণীগাঁও শেখ বাড়িতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন পর্তুগাল বিএনপির সদস্য সচিব ছায়েফ আহমদ সুইট।

 

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “‘শুধু সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনের কারণে ফ্যাসিবাদ তথা আওয়ামী দুঃশাসনের অবসান হয়েছে আপামর জনগোষ্ঠী কি তাই মনে করে?’

 

তিনি বলেন, “এটা পতিত স্বৈরাচারের দোসর ও সুবিধাভোগীদের মিথ্যা প্রোপাগান্ডা। ফ্যাসিবাদ একদিনে প্রতিষ্ঠা হয়না, নির্দিষ্ট বিষয়ে বৈষম্য সৃষ্টি করলেই ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা যায় এই চিন্তাটা নিরর্থক। আন্দোলন মূলত সফলতা পেয়েছে মানুষের দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের কারণে। সুতরাং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এর অঙ্গ ও সহযোগীদের অবদান খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। একটি সামাজিক আন্দোলন একদফায় রূপ নেয় যখন তাতে রাজনৈতিক দলের সমর্থন ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। “একদফা” কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি- প্রতিষ্ঠান বা গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। একদফার চেতনা হলো রাজনৈতিক সচেতনতা, শোষিত- নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের বিপ্লবী চেতনা। বিপ্লব এক দিনে হয় না। ইতিহাস তাই বলে। বিপ্লব সংগঠিত হয় চেতনায়, যে চেতনায় থাকে আপোষহীনতা, দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগ আর তিতিক্ষা।”

 

পর্তুগাল বিএনপির সদস্য সচিব ছায়েফ আহমেদ সুইট আরও বলেন, “দীর্ঘদিন পর স্বৈরাচার শেখ হাসিনা মুক্ত বাংলাদেশে ফিরেছি। এটা আন্দদদায়ক খবর। তার পিতা ও তাকে উপাধি দিয়েছি একজন বীর পলাতক শ্রেষ্ঠ ও বীর পলাতক উত্তম। সবাইকে বিজয়ের শুভেচ্ছা,

দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। শহীদ জিয়ার অবদান বলে শেষ করা যাবে না। এবারের আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদেরকে পুনর্বাসন করতে হবে। ৫ ই আগস্ট এর গনঅভ্যুত্থানে আগে ও পরে যারা শহীদ হয়েছেন রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, “মহান রাব্বুল আলামিনের যেন হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের সকলকে যেন জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন।

তিনি আরও বলেন আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জনাব আরিফুল হক চৌধুরী এখানে এসে প্রমান করেছেন তিনি একজন কর্মী বান্ধব নেতা, তিনি প্রধান অতিথি সহ আগত সকল নেতৃবৃন্দেকে ধন্যবাদ জানাম।”

 

অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে পর্তুগাল বিএনপির ১ম যুগ্ম আহবায়ক, সাবেক ছাত্রনেতা শেখ খালেদ আহমদ মিনহাজ বলেন, “আমরা দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করতে রাতদিন বিশ্বের দেশে দেশে আন্দোলন করেছি। আমরা চাই, বাংলাদেশে আর কোন স্বৈরাচারের জন্ম না হোক। তিনি বলেন, ইনশা আল্লাহ বালাগঞ্জবাসীর পাশে আছি, আগামীতেও দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে বালাগঞ্জবাসীর পাশে থাকবো।”

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আরিফুল হক চৌধুরীকে ফুল এবং ক্রেস্ট প্রদান করেন বোয়ালজুড় ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ছাদেক আহমদ।

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান, বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির নেতা আব্দুল মুনিম, বালাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মামুনুর রশীদ সুহেল, জামাল আহমদ মাস্টার, সাবেক সহ-সভাপতি সিরাজুজ্জামান খান মঙ্গল, ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গয়াস মিয়া, বালাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক হাজী রফিক আহমদ, সিলেট জেলা যুবদলের সহ তত্ত্ব ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শাকের মাহমুদ, বালাগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ফয়জুল হক মেম্বার, বালাগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাবুল আহমদ, বালাগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সেলিম আহমদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ফখরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, বালাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, বিএনপি নেতা শেখ শফিকুর রহমান দুদু, ফখরুল ইসলাম, হেলাল আহমদ, যুবদল নেতা মকবুল হোসেন, দুলাল আহমদ, হাসান আহমদ, ছাদেক আহমদ, মঞ্জু মিয়া, এমরান আহমদ, আব্দুস সালাম আজাদ, জাকির হোসেন টিটু, শাহরিয়ার আহমদ খালেদ, নূরুল ইসলাম, সুফিয়ান আহমদ, খালেদ আহমদ ময়না, ফজলু মিয়া, আনোয়ার মিয়া, সেলিম আহমদ, বাবলু মিয়া, ফয়েজ আহমদ প্রমুখ।

এই বিভাগের আরো খবর