শুক্রবার, ২০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০ কার্যদিবসে ৩৩ হাজার আসামির জামিন

ডেস্ক নিউজ : সারা দেশে নিচু আদালতে ভার্চুয়াল শুনানি নিয়ে গত ২০ কার্যদিবসে নারী ও শিশুসহ ৩৩ হাজার ১৫৫ জন আসামিকে জামিন দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৭ জুন থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫ দিনেই জামিন দেওয়া হয়েছে ৫৬৭৫ আসামিকে। সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাইকোর্ট বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের আজ শুক্রবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, গত ১১ মে থেকে ১১ জুন পর্যন্ত গত ২০ কার্যদিবসে ৬০ হাজার ৪১৯টি জামিনের আবেদন নিষ্পত্তি করে ৩৩ হাজার ১৫৫ জনের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। এরমধ্যে গত ৩১ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত ৫দিনে ১৪ হাজার ৩৪০টি আবেদনের নিষ্পত্তি করে ৬৫৪২ আসামির জামিন মঞ্জুর করা হয়। আর ৭ জুন থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫ দিনে ১২ হাজার ৭৬২টি জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করে ৫৬৭৫ জনের জামিন মঞ্জুর করা হয়। এরআগে ১১ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত ১০ কার্যদিবসে ৩৩৩১৭টি জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করে ২০৮৩৮ জনের জামিন মঞ্জুর করা হয়।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, গত ৭ জুন থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫ কার্যদিবসে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন আদালতে ৩২৯৯টি জামিনের আবেদন দাখিল করা হয়। এরমধ্যে ২৮৫৬টি আবেদন নিষ্পত্তি করে ১১৮৪ জন আসামিকে জামিন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া একই সময়ে চট্টগ্রাম বিভাগে ৩০৯৮টি, রংপুর বিভাগে ১০৬৯টি, বরিশাল বিভাগে ৫৬৮টি, রাজশাহী বিভাগে ১৯৩৯টি, খুলনা বিভাগে ১৬৩০টি, সিলেট বিভাগে ৯০২টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৯৫৩টি জামিনের আবেদন দাখিল করা হয়। এসব আবেদনের ওপর শুনানি শেষে চট্টগ্রাম বিভাগে ২৯০০ আবেদন নিষ্পত্তি করে ১১২১ জন, রংপুর বিভাগে ১০০৭টি আবেদন নিষ্পত্তি করে ৪৩৫ জন, বরিশাল বিভাগে ৫২৫টি আবেদন নিষ্পত্তি করে ২৪০ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৭৯১টি আবেদন নিষ্পত্তি করে ৭৮৪ জন, খুলনা বিভাগে ১৫৬২টি আবেদন নিষ্পত্তি করে ৮৩৪ জন, সিলেট বিভাগে ৮৭৬টি আবেদন নিষ্পত্তি করে ৫শ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৮৭৩টি আবেদন নিষ্পত্তি করে ৪১১ জনের জামিন মঞ্জুর করা হয়।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে গত ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে নিয়মিত আদালত বন্ধ। এ প্রেক্ষাপটে ভার্চুয়াল আদালত চালু করতে গত ৯ মে আদালতে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০ নামে গেজেট প্রকাশ করে। এই অধ্যাদেশের ক্ষমতাবলে ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করার মাধ্যমে আদালতকে মামলার বিচার, বিচারিক অনুসন্ধান, দরখাস্ত বা আপিল শুনানি, সাক্ষ্যগ্রহণ, যুক্তিতর্ক গ্রহণ, আদেশ বা রায় দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়। এর পরদিন ১০ মে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভায় সুপ্রিম কোর্টসহ সারাদেশে ভার্চুয়াল আদালত চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফুলকোর্ট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওইদিনই ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনার জন্য আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগ এবং অধস্তন আদালতের জন্য আলাদা আলাদা ‘প্র্যাকটিস নির্দেশনা’ এবং  আইনজীবীদের জন্য ‘ভার্চুয়াল কোর্টরুম ম্যানুয়াল’ প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন নিম্ন আদালতের শুধুমাত্র জামিন শুনানি করতে নির্দেশ দিয়ে একইদিন পৃথক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে।

এরপর ১১ মে থেকে ভার্চুয়াল আদালত কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে শুধুমাত্র সীমিত আকারে নির্দিষ্ট কিছু আদালতে জামিন আবেদনের শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ৩০ মে’র পর আদালতের সংখ্যা ও এখতিয়ার বাড়ানো হয়েছে। এরপর থেকে সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব আদালতে শুনানি গ্রহণ করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরো খবর