শুক্রবার, ২০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে ফিনল্যাণ্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবির এবং সাম্পাদক সাখাওয়াত হোসেনের শোক

ঢাকা: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ফিনল্যাণ্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবির এবং সাধারাণ সাম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন।

শনিবার (১৩ জুন) এক শোকবার্তায় হুমায়ুন কবির বলেন, গণমানুষের নেতা মোহাম্মদ নাসিম পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ায় দেশ একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদকে হারালো। তার মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হলো তা অপূরণীয়। জাতীয় চারনেতার অন্যতম শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর সুযোগ্যপুত্র মোহাম্মদ নাসিম এদেশের রাজনীতিতে যে অবদান রেখেছেন তা বাঙালি জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে।

সাধারাণ সাম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও রাজনৈতিক অনুসারীদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।

এর আগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মুখপাত্র বর্ষীয়ান জননেতা মোহাম্মদ নাসিম গত ৫ জুন ভোরে ব্রেন স্ট্রোক করেন। ওইদিনই জরুরিভাবে তার অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর চিকিৎসকরা তাকে ৪৮ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন। পরে গত ৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ৫ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। বিকেলে মেডিক্যাল রোর্ড সভা করে তার শারীরিক অবস্থা পযালোচনা করেন। চিকিৎসকদের বোর্ড তাকে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নেন। ওই সময়ের মধ্যে তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ডিপ কোমাতে রাখা হয় ৷ গত ১ জুন সকালে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। পরে রাতে তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্টে পজিটিভ আসে। তবে পরদিন থেকে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয় ৷ কিন্তু গত ৫ জুন সকালে মোহাম্মদ নাসিম ব্রেন স্ট্রোক করেন।

ওয়ান ইলেভেনের সময় কারাবন্দি অবস্থায় স্ট্রোক করেছিলেন নাসিম। এবার ছিল তার দ্বিতীয় দফায় স্ট্রোক। এ অবস্থায় গত ৯ জুন তার পুনরায় করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা হয়। ওইদিন করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়ার চেষ্টাও করা হয় ৷ কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হওয়ায় বিদেশ নেওয়ার মতো অবস্থা থাকে না। ফলে চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি ৷

শনিবার সকাল ১১টা ১০মিনিটে রাজধানীর শ্যামলী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোহাম্মদ নাসিম শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

এই বিভাগের আরো খবর