ডেস্ক নিউজ : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে গবেষণার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টি’নামে একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান।
রোববার (১৪ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে এর অনুমোদন দেয়া হয়।
করোনাভাইরাসের কারণে সিনেটের এই বার্ষিক অধিবেশন স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য অনুষ্ঠিত হয়। সিনেটের চেয়ারম্যান ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
২০১৯ সালের ২৬ জুন সিনেট অধিবেশনে‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টি’প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন সিনিয়র সাংবাদিক ও সিনেট সদস্য মনজুরুল আহসান বুলবুল। এ বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য সিন্ডিকেট কমিটি গঠন করা হয় ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর।
প্রস্তাবটি সিন্ডিকেটে অনুমোদন পায় এ বছরের ১০ জুন। সবশেষ প্রক্রিয়া হিসেবে আজ (১৪ জুন) সিনেটের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টি’প্রতিষ্ঠার বিধান অনু সমর্থন করা হয়।
শিগগিরই প্রতিষ্ঠানটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে বলে উপাচার্য আশা প্রকাশ করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দেশে গবেষণার জন্য এটিই হবে প্রথম ও একমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট অধিবেশন থেকে আগামী এক বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে তিনজনকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তারা হলেন, শিক্ষক ক্যাটাগরিতে ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম, রেজিস্ট্রার গ্র্যাজুয়েট ক্যাটাগরিতে বঙ্গবন্ধু সমাজকল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এস এম বাহালুল মজনুন, বিশিষ্ট নাগরিক হিসেবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক এ কে এম শামসুজ্জামান খান। অন্যদিকে ফিন্যান্স কমিটির (এফসি) সদস্য হয়েছেন ড. আতিউর রহমান। আগামী ২৩ জুলাই ফের সিনেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। সিনেট অধিবেশন একাই পরিচালনা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,যেহেতু সিনেটের এই বার্ষিক অধিবেশনে ২০২০-২১ অর্থ বছরের বাজেট উপস্থাপন করা যায়নি; বিধায় সেটি উপস্থাপন ও বিবেচনার জন্য সিনেটের আগামী ২৩ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত মুলতবি করা হলো। অধিবেশনে সংসদ সদস্য, ডাকসু’র প্রতিনিধিসহ সকল ক্যাটাগরি থেকে ৬৩ জন সিনেট সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের চেয়ারম্যান ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান তাঁর অভিভাষণে সিনেট সদস্যদের স্বাগত জানান। করোনায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তিনি তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। এসময় করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় চিকিৎসক, নার্স, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণমাধ্যমকর্মীসহ যারা সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে ভূমিকা রাখছেন এবং কাজ করছেন তাঁদের প্রতি ১ মিনিট দাঁড়িয়ে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
উপাচার্য জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে নানা পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে করোনা উদ্ভুত দুর্যোগ মোকাবেলায় আন্তরিকভাবে কাজ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
উপাচার্য বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনির্ধারিত ছুটিতে অনলাইনসহ বিভিন্ন সম্ভাব্য উপায়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ও সক্রিয় রাখার ব্যাপারে সকল বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের সহকর্মীদের বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে; যাতে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর কম সংখ্যক ক্লাশ নিয়ে পরীক্ষা নেয়া যায়।