লাইফস্টাইল ডেস্ক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেই চলে এসছে ডেঙ্গুর মৌসুম। এ সময় ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতেন হতে হবে।
ডেঙ্গুজ্বর একটি সংক্রামক রোগ। এডিস মশার কামড়ে এই রোগ হয়ে থাকে। এই রোগে আক্রান্ত হলে শরীরজুড়ে উচ্চব্যথা, মাথাব্যথা, ফুসকুড়ি ও জ্বর হতে পারে। তবে ডেঙ্গু তেমন মারাত্মক নয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রোগী পুরোপুরি সেরে ওঠে।
ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ
ডেঙ্গুজ্বরকে ব্রেক-বোন ফিভারও বলা হয়। কারণ ডেঙ্গু হলে অনেক সময় গুরুতর হাড় ও পেশির ব্যথার কারণ হতে পারে। এই জ্বরে হাড়ে প্রচণ্ড ব্যথা হয়।
১. ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে ৪ থেকে ১৪তম দিন পর লক্ষণ দেখা দেয়।
২. সাধারণভাবে ডেঙ্গুর লক্ষণ হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত জ্বর। ১০১ ডিগ্রি থেকে ১০২ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকতে পারে। জ্বর একটানা থাকতে পারে। আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেয়ার পর আবারও জ্বর আসতে পারে।
৩. চক্ষুকোঠর, বিভিন্ন হাড়ের জোড়, পেশি ও হাড়ে প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে।
৪. ফুসকুড়ি বা র্যা শ দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া নাক বা মাড়ি থেকে রক্ত ক্ষরণ হতে পারে।
কিছু ক্ষেত্রে ডেঙ্গু হেমোরজিক ফিভার নামে একটি মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। জ্বর কমে যাওয়ার পরও এই লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে-
বমি বমিভাব ও বমি, পেটে প্রচণ্ড ব্যথা, শ্বাস নিতে সমস্যা ও প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে পারে।
ডেঙ্গু হেমোরজিক জ্বরের সঙ্গে সঙ্গেই যদি চিকিৎসা না করা হয়, তবে একজন ব্যক্তির প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হতে পারে এবং মারাও যেতে পারে।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন
ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অনেকে দেখা যায়, সময় জ্বর কমে যাওয়ার পর দু’একদিন পর লক্ষণগুলো আরও খারাপ হয়ে যায়। এ সময় দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।