এম ইসলাম দিলদার বাঘা প্রতিনিধি,রাজশাহীঃ নাটোরের লালপুরে দীর্ঘ্য ২৫ বছরের পূরানো ১তলা স্থাপনার উপরে দ্বীতল ভবন নির্মান ও বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে মানব বন্ধন অনুষ্টিত হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) সকাল ১০ ঘটিকায় উপজেলার পাইকপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯৫ইং সনে নির্মিত একটি ১ তলা স্থাপনার উপরে দ্বীতল ভবন নির্মান ও নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে এ মানব বন্ধন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির এ দ্বীতল ভবন নির্মান ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সকল ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও এলাকার সচেতন মহলের উদ্দোগে এ প্রতিবাদি মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পাইকপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ভবনটি প্রায় দুই যুগের উপরে নির্মিত হয়েছিল। এ ভবনটি বর্তমানে জরাজীর্ণ ও পরিত্যাক্ত প্রায়। পুরাতন শ্রেণী কক্ষ গুলির ভেতরে পিলার ও ছাদের বিভিন্ন অংশ খুলে পড়ে যাওয়াতে ভেতরের রড দেখা যায়। চলমান কাজের ঠিকাদারের নির্দেশে মিস্ত্রী রিফাইন করতেও দেখতে পাওয়া যায়। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষিকা জলি আক্তারী স্কুলে নতুন ভবন নির্মাণে কোন কিছু জানেন না,তবে শিক্ষা অধিদপ্তর হতে ইন্জিনিয়ার এসে তারা দেখে গিয়েছে।হটাৎ একদিন প্রকৌশলী আমাকে মোবাইলে বলেন আমার (পাইকপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের) নতুন দ্বীতল ভবনের অনুমতি হয়েগেছে। এর পরে স্কুল সীমানায় ইট-বালি ফেলে কাজ শুরু করেন। আমার বিদ্যালয়ের ২৬বছরের পুরাতন শ্রেণী কক্ষের উপরে আবার নতুন করে দ্বীতল ভবন নির্মাণে কোন সমস্যা বা ধসে ভেঙ্গে পড়লে দায়ভার প্রকৌশলী দের নিতে হবে।
পাইকপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির বর্তমান সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ও দুড়দুড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ইমরান আলী, উক্ত বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষক, রাজশাহী বিভাগীয় সোনালী ব্যাংক সাবেক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, আমি সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও জানতে দেওয়া হয়নি কত টাকা ব্যায়ে নির্মিত হচ্ছে নতুন দ্বীতল ভবনটি। প্রধান শিক্ষিকা সহ পরিচালনা কমিটির বিভিন্ন সদস্যদের বলেছিলাম পুরাতন বিল্ডিং এর উপরে দ্বীতল ভবন নির্মান না করার জন্যে। যেহেতু পুরাতন বিল্ডিং এর ভঙ্গুর পিলার এবং ছাদ। দ্বীতল ভবন নির্মিত হলে ভেঙ্গে পড়তে পারে যে কোন সময়। তিনি আরও ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজ, সাবেক সভাপতির ছোট ভাই স্থানীয় নেতা লিপটন, ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক মাইদুল ইসলাম ও অভিভাবকগন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভবন নির্মান না করার জন্য অনুরোধ করলে প্রধান শিক্ষিকা আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর মামলা দিবে বলে হুমকি দেন।উপ-সহকারী প্রকৌশলী সেলিম জানান,চোখে দেখে মনে হয়েছে বিগত ২৬ বছরের পুরাতন স্থাপনার উপরে দ্বীতল ভবন নির্মাণে কোন সমস্যা নেই।ঝুঁকিপূর্ণ এই বিল্ডিং ধসে পরতে পারে কিনা প্রশ্নের জবাবে বলেন,একটি বিল্ডিং যখন তৈরী হয় তার মেয়াদকাল হয় ১ শত বছরের।তাই ২৬ বছরের পুরাতন স্থাপনার উপরে দ্বীতল ভবন নির্মাণে কোন সমস্যা হবে না বলে জানান ঐ সরকারী প্রকৌশলী।