শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উন্নয়ন বার্তা পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

এসএম মশিউর রহমান,বালিয়াডাঙ্গী প্রতিনিধি: লক্ষ লক্ষ টাকা লুটপাট, হিসাব দিতে পারলেন না সরকারি শহীদ আকবর আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজের অধ্যক্ষের নামে প্রকাশিত অনিয়ম বিষয়ক রিপোর্ট মিথ্যা, বানোয়াট এবং প্রমানহীন।

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়য়ের অধিভুক্ত সরকারি শহীদ আকবর আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজ ২০১৪ সালে বিবিএ, সিএসই, এবং এগ্রিকালচার অনুষদের কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনা হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করে আসছে। ইতিমধ্যে বৃহত্তর দিনাজপুরসহ ২৫ টি জেলার শিক্ষার্থী অত্র কলেজে অধ্যায়নরত।

উন্নয়ন বার্তা অনলাইন পত্রিকায় ২৪/০৬/২০২০ ইং তারিখে সম্প্রতি প্রকাশিত যে অনিয়মের কথা উল্লেখ্য করা হয়েছে তা সর্ম্পূণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। বিগত ১৮ ই মে ২০২০ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উপসচিব জনাব, মোঃ মঈনুল হাসান স্বাক্ষরিত চিঠির আদেশ কোন প্রকার অপরাগতা প্রকাশ করা হয়নি। উক্ত কলেজের সভাপতি জনাব মোঃ খাইরুল আলম সুমন (উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বালিয়াডাঙ্গী, ঠাকুরগাঁও) আয়-ব্যয় এর হিসাব দশ কার্য দিবসের মধ্যে কোন রকম স্বাক্ষরিত চিঠি অত্র কলেজের অধ্যক্ষের নামে ইস্যু করেননি। এ বিষয়ে সভাপতি মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বিষয়টি জানেন না এবং আয়-ব্যয় এর কোন চিঠি ইস্যু করেননি বলে জানান।
অধ্যক্ষ সম্পর্কে যে সব অনভিপ্রেত মন্তব্য করা হয়েছে এবং যে সব ভুল তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তা অত্যন্ত যুক্তিহীন এবং দুঃখজনক । কলেজ কর্তৃপক্ষ এহন রিপোর্টে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করেছে।

পত্রিকায় উল্লেখ্য করা হয় যে প্রতি সেমিস্টার (৬মাস) ১৯,০০০/- টাকা করে প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হয় কিন্তু এই কথা পুরা মিথ্যা এবং বানোয়াট। যে খানে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে সেমিস্টার ফি (৬মাস) ১০,২০০/- (দশ হাজার দুইশত) টাকা করে নেওয়া হয় এবং তা ভর্তি বিবরণীতে (লিফলেট ও রেজুলেশন) এই টাকার পরিমান উল্লেখ্য আছে। পত্রিকায় উল্লেখ্য আছে যে, প্রতি মাসে শিক্ষক এবং কর্মচারীর বেতন ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা এবং বাষিক ৪৮ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়। কিন্তু প্রতি মাসে শিক্ষক এবং কর্মচারীর বেতন ৬,৭০,৫৩৫/- (ছয় লক্ষ সত্তর হাজার পাঁচশত পয়ত্রিশ) টাকা করে বার্ষিক ৮০ লক্ষ ৪৬ হাজার চারশত বিশ টাকা ব্যয় হয়। পত্রিকায় উল্লেখ্য করা হয় যে রুপালী ব্যাংক শাখার একাউন্ট এ কোন টাকা রক্ষিত নাই। অত্র কলেজে রুপালী ব্যাং শাখায় অত্র কলেজের নামে ৩ টি পৃথক পৃথক একাউন্ট আছে যেখানে ফরম ফিলাপ এবং সেমিস্টার ফি একাউন্ট এ ৪,৩৪,৩৬০/- (চার লক্ষ চৌত্রিশহাজার তিনশত ষাট) টাকা এখনো আছে।
চলতি ২০২০ সেশনে ৯৮ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও সকল শিক্ষার্থীর ৯,০০০/- টাকা করে ভর্তি ফি আদায় করা হয়নি এবং কথাটি পুরোপুরি ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বানোয়াট।

পত্রিকায় উল্লেখ্য আছে যে, ২০১৮ সালে কলেজের টাকায় ছাত্রদের যাতায়াতের জন্য একটি বাস ক্রয় করা হয়। ২০১৮ সালে কলেজের টাকা দিয়ে কোন বাস ক্রয় করা হয়নি এবং বর্তমানে এই বাসের ভাড়া প্রতিমাসে ৬০,০০০/- টাকা অর্থ কমিটি কখনো আদায় করেননি।

কলেজের প্রধান গেট পূণ্যনির্মানের জন্য পত্রিকায় প্রকাশিত তিন লক্ষ টাকা আত্মসাৎতের কথা উল্লেখ্য করা হয়েছে যা মিথ্যা। এখানে কোন প্রকার টাকা আত্মসাৎ করা হয়নি এবং প্রধান গেটটির জন্য প্রায় ২৭,০০০/- (সাতাশ হাজার) টাকা বরাদ্দ হয়েছে এবং তত টাকায় গেটটির নির্মান কাজে ব্যবহার করা হয়েছে যেটা নির্মান কমিটির স্বাক্ষরিত ভাউচার এবং রেজুলেশন এ উল্লেখ্য আছে।

নবীন বরনের জন্য ২০১৯ ও ২০২০ সালের প্রতিবার দেড় লক্ষ টাকা করে তিন লক্ষ টাকা কলেজ ফান্ড থেকে উত্তোলন করা হয়েছে মর্মে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বাস্তবে কলেজ ফান্ড থেকে নবীন বরণের জন্য কোন টাকা উত্তোলন করা হয়নি।

অন্যান্য সদ্য সরকারি কলেজের মতো অত্র কলেজেও সেমিস্টার ফি আদায় করা হয় এবং তার রশিদ প্রত্যেক শিক্ষাথীকে এক কপি করে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য যে কলেজের যাবতীয় উন্নয়ন কার্যক্রম ও যাবতীয় খরচাদি নোটশীট সহ কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত এবং রেজুলেশন করে কমিটির মাধ্যমে খরচ করা হয়।

সম্প্রতি মামুন কায়সার এর নামে যে বরখাস্তের হুমকি পত্রিকায় উল্লেখ্য করা হয়েছে এ কথা পুরোপুরি মিথ্যা। জনৈক প্রভাষক মোঃ মামুন কায়সার (মার্কেটিং) তিনি বিবিএ ১৬ ব্যাচ এর কোর্স কো- অর্ডিনেটর থাকাকালীন কিছূ সংখ্যক শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফি এর টাকা নিজে উত্তোলন করে ব্যাংকে জমা না করে নিজের কাছে রেখে দেন। সে বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে ০৭/১১/২০১৯ তারিখে স্মারক নং সশআবিপ্রক/২০১৮-১৯/৪০৭ কারণ দর্শানোর চিঠি ইস্যু করা হয়। অত্র কলেজের সভাপতি মহোদয়কে উক্ত বিষয়ে অবহতি করা হয়।
অত্র কলেজের ২০১৯-২০ সালের আয় =১,০৮,৭৩৯০২/- টাকা ও ব্যয় হচ্ছে = ১,০৮,৬১,৫৭৬/- টাকা।

পরিশেষে উক্ত পত্রিকার সম্পাদক ও প্রতিবেদকের প্রতি এহেন উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মিথ্যা, বানোয়াট রিপোর্ট পরিহার করে উক্ত ব্যাক্তি তথা কলেজের সুনাম রক্ষার্থে ভবিষ্যতে বস্তুনিষ্ঠ রিপোর্ট প্রদানে এবং যথাযথ কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে অবগত করে রিপোর্ট প্রদানে অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় কলেজ কর্তৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকবে।

অধ্যক্ষ
সরকারি শহীদ আকবর আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজ
বালিয়াডাঙ্গী, ঠাকুরগাঁও। মোবাঃ ০১৭১৬৭৮৯১৯৫

প্রতিবেদক এসএম মশিউর রহমান সরকারের বক্তব্য: প্রতিবেদনটি সরকারি শহীদ আকবর আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলে তৈরি করা হয়েছে। কোনো বক্তব্যই জি.নিউজ-৭১.কম অনলাইন পত্রিকার নয়।

এই বিভাগের আরো খবর