শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হিলিতে সিন্ডিকেটের হাতে পাথর ব্যবসা, প্রতি টনে দাম বেড়েছে ৯শ টাকা


সোহেল রানা,হিলি,দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ- দীর্ঘ আড়াই মাস বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে ভারত থেকে পাথর আমদানি । আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও হঠাৎ করে বেড়েছে পাথরের দাম, প্রতি টনে বেড়েছে ৭শ থেকে ৮শ টাকা। দুই-চার জন আমদানিকারক ও ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িছে বলছেন অন্য আমদানিকারকরা।

করোনা ভাইরাসের কারনে পাথর আমদানি বন্ধ থাকলেও গত ৮ই জুন স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমদানি-রপ্তানি শুরু হলেও পাথর আমদানি শুরু হয় ১৫ই জুন থেকে।তবে পূর্বের থেকে এই বন্দর দিয়ে কমেছে পাথর আমদানি।আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে ভারত-বাংলাদেশের পাথর ব্যবসায়ী মহলের একটি সিন্ডিকেট। ৮শ থেকে ৯শ টাকা প্রতি টন পাথরে বাড়িয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৮শ থেকে ৩৯শ টাকা দরে। এদিকে পাথরের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বেচা-কেনা করতে সমস্যা হচ্ছে সাধারন ব্যবসায়ীদের।নতুন করে আমদানি করতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন বেশ কিছু আমদানিকারক।
স্থানীয় কয়েক জন পাথর আমদানিকারক জানান,করোনা ভাইরাসের ফলে লকডাউন ঘোষণার আগে আমরা ভারতে পাথরের অনেক এলসি করেছিলাম। লকডাউনের কারনে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার কারনে সেগুলো আনতে পারিনি। তবে লকডাউনের পর আবারও হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু হলেও কিছু আমদানিকারক ও ভারতীয় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পাথর আমদানি স্বাভাবিক থাকার পরেও দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে আমাদের ব্যবসা করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
তারা আরো জানান,ভারত থেকে পাথর আমদানি করতে পারছে গুটি কয়েক আমদানিকারক। সিন্ডিকেট করায় ব্যবসা চলে যাচ্ছে তাদের হাতে।আর সুযোগ বুঝে তারা দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। বন্ধের আগে যে পাথর গুলো আমরা ২৯শ থেকে ৩ হাজার টাকা দরে বিক্রি করলেও এখন তাদের সিন্ডিকেটের কারনে সেই পাথর বিক্রি হচ্ছে ৩৮শ থেকে ৩৯শ টাকা প্রতি টনে।

এদিকে কথা হয় বগুড়া থেকে পাথর কিনতে আসা শফি মাহমুদ সাথে,হঠাৎ করে পাথরের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে এভাবে দাম বাড়ালে আমাদেরকে পথে বসতে হবে।

হিলি কাষ্টমসের সহকারী কমিশনার আব্দুল হান্নান জানান, ৮ ই জুন এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হলেও ১৫ ই জুন থেকে এই বন্দর দিয়ে পাথর আমদানি শুরু হয়েছে। ১২ কর্মদিবসে ২৮হাজার ৬২ মেট্রিক টন পাথর আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে যা থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২ কোটি ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ২শ ৪৮ টাকা ।

তিনি আরো জানান,এই মহামারীর মধ্যে সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আমরা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে করে সরকারের রাজস্ব আদায় অব্যহত থাকে।

এই বিভাগের আরো খবর