বৃহস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জোড়াতালি ঘরে আতংকে রাত কাটছে হালিমার পরিবারের

সোহেল রানা,হিলি প্রতিনিধিঃ- সীমান্তবর্তী উপজেলা হিসেবে পরিচিত হিলি-হাকিমপুর। আর এই উপজেলার বোয়ালদাড় ইউনিয়নের খাট্টাউছনা গ্রামে স্বামী,এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বসবাস করে হালিমা। নিজের শেষ সম্বল মাত্র ৩ শতক জায়গা । সেই জায়গাটিতে স্বামী সন্তানকে নিয়ে থাকার জন্য বাঁশ খড়ি দিয়ে বেড়া এবং তাতে কাদা মাটি লাগিয়ে তৈরি করে দুইটি ঘর। আবার ডিজিটাল যুগে এবং শতভাগ বিদুৎ এর এই উপজেলায় সেই ঘরে নেই বিদুৎ । গ্রামের ভাষায় এমন ঘর গুলোকে বিশেষ করে বলা হয় “ছিটার ঘর”। কষ্টের তৈরি সেই ঘর গুলো বর্ষাকালের পানি ও সম্প্রতি বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে ফলে ভেঙ্গে যাওয়ায় এই মহামারীর মধ্যে অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছে হালিমা ও তার পরিবার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,খাট্টাউছনা বাজার থেকে পূর্ব দিকে রাস্তার পাশে একটি বাড়ি। বাড়ি ভিতর গিয়ে দেখা যায় একটি ঘর একবারেই ভেঙ্গে পড়েছে আর একটি ঘরের পূর্ব দেওয়াল ভেঙ্গে গেছে যেখানে ছিড়া কাপড়,টিন আর বাঁশের খড়ি দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে থাকেই সেই পরিবারটি। একই ঘরে থাকে হালিমা তার স্বামী বড় মেয়ে ও ছেলে।

কথা হয় হালিমার সাথে তিনি জানান,কান্না বিজড়িত কন্ঠে বলে উঠলো ভাই রাতে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে আতংকে থাকি। কখন যে ঝড় আসে আর কখন যে বৃষ্টি হয়। সব মিলে রাত কাটে আতংকে। দেখার কেউ নেই,খুব কষ্টে আছি। মেম্বার ও চেয়ারম্যানের কাছে গেলে আমাকেও কিছুই দেয় না। ঘরে থাকার মত বুদ্ধি নেই। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করছি আমাকে থাকার একটা ব্যবস্থা করে দিলে আমার উপকার হতো।

স্থানীয় ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম জানান,আমরা দীর্ঘ দিন থেকে দেখে আসছি হালিমা বেগম অনেক কষ্ট করে চলে। থাকার যে ঘর গুলো ছিলো সেগুলো এখন ভেঙ্গে গেছে। রাস্তা পাশে বাড়ি হওয়ায় যাতায়াত করতে আমরা দেখি। সরকার যদি তার জন্য একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দিত তাহলে তার অনেক উপকার হতো।

হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ হারুন জানান,আমি বিষয়টি ইতিমধ্যে স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জেনেছি। জমি আছে,ঘর নেই এই প্রকপের আওতায় দ্রুত তার ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রাফিউল আলম জানান,আমি আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম।আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখবো এবং তার যদি নিজস্ব জায়গা থাকে সেখানে জমি আছে,ঘর নেই এই প্রকপের আওতায় গৃহনির্মানের ব্যবস্থা করা হবে।এছাড়াও সে যদি অনন্যে ভাতার পাওয়ার মত যোগ্য হয় তাহলে সেগুলোর ব্যবস্থা করা হবে।

 

এই বিভাগের আরো খবর