বিনোদন ডেস্ক : বাংলাদেশের প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোরের মৃত্যুর পর তার ছেলে সপ্তক অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন। এখন মেয়ে সজ্ঞার জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। তিনিও আছেন অস্ট্রেলিয়ায়। আগামী ১৩ জুলাই রাতে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তারা ভাই-বোন দুজনেই অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করেন।
এন্ড্রু কিশোরের বোন জামাই প্যাট্টিক বিপুল বিশ্বাস জানান, বুধবার রাতে সপ্তক ঢাকায় আসেন। এরপর তাকে রাজশাহী আনা হয়। সজ্ঞা ফেরার পর ১৫ জুলাই এন্ড্রু কিশোরের শেষকৃত্যের সাম্ভাব্য দিন ধরে রাখা হয়েছে। ১৩ জুলাই রাতে সজ্ঞার ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। ১৪ জুলাই সকালে তিনি রাজশাহী আসবেন।
আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এন্ড্রু কিশোর ক্যানসারে ভুগছিলেন। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে তিনি সিঙ্গাপুরেই ছিলেন চিকিৎসার জন্য। কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি চিকিৎসার পরও দ্বিতীয়দফায় তার দেহে ক্যানসার বাসা বাঁধে। ফলে চিকিৎসকরা হাল ছেড়ে দেন। তাই শিল্পীর ইচ্ছায় তাকে দেশে আনা হয় গত ১১ জুন।
এরপর থেকে রাজশাহীতে তিনি বোনের বাসায় ছিলেন। গত ৬ জুলাই সন্ধ্যায় এখানেই উপমহাদেশের এই কিংবদন্তী কণ্ঠশিল্পী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তার মরদেহ এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। ১৫ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টায় দিকে মরদেহ সিটি চার্চে নিয়ে ধর্মীয় আচার শুরু হবে। এন্ড্রু কিশোরের ইচ্ছা অনুযায়ী বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মরদেহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে নেয়া হবে। সেখানে তাঁর শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ভক্তদের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ দেয়া হবে। এরপর এন্ড্রু মরদেহ রাজশাহী কলেজে রাখা হবে।
সেখানেও ভক্ত-অনুরাগীদের শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ দেয়া হবে। শ্রদ্ধা জানানো শেষে বেলা সাড়ে ৩টায় এন্ড্রু কিশোরের মরদেহ রাজশাহী সার্কিট হাউস ও কেন্দ্রীয় কারাগারের পেছনে সমাধিস্থলে নেয়া হবে। সেখানেই শিল্পীর পছন্দ করা জায়গায় তাকে অনন্তকালের জন্য সমাহিত করা হবে। এখানে কিশোরের বাবা-মায়েরও সমাধি রয়েছে।