দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ধারণা ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ২০ মিলিয়ন (দুই কোটি) মানুষ করোনার শিকার হয়েছেন। দেশটির দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) বলছে, ‘প্রকৃত তথ্য হলো প্রকাশিত সংখ্যার অন্তত ১০ গুণ বেশি মানুষ করোনার ভয়াবহতার শিকার।’
বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের তালিকায় যোগ হয়েছে ৬১ হাজার ৬৭ জন। যা একদিনে আক্রান্তের নিরিখে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩২ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৯ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ গেছে ৯৪০ জনের। এ নিয়ে দেশটির ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮২২ জনের মৃত্যু হলো করোনায়।
এর মধ্যে শুধু নিউইয়র্কেই আক্রান্ত ৪ লাখ সাড়ে ২৫ হাজার। যেখানে ৩২ হাজার ৩৪৩ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
সংক্রমণে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শহর ক্যালিফোর্নিয়ায় করোনা রোগীর সংখ্যা তিন লাখ ছাড়াল। যেখানে এখন পর্যন্ত করোনার শিকার ৩ লাখ ৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৮৫০ জনের।
সংক্রমণ আশঙ্কাজনকহারে দীর্ঘ হয়েই চলেছে টেক্সাসে। এ শহরে আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ৪১ হাজার পেরিয়েছে। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ৩ হাজার ৪৬ জনের।
ফ্লোরিডায় সংক্রমণ ২ লাখ ৩৩ হাজারের কাছাকাছি। ইতিমধ্যে সেখানে ৪ হাজার ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।
নিউ জার্সিতে করোনার শিকার ১ লাখ ৭৮ হাজার ছুঁই ছুঁই। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ১৫ হাজার ৫২২ জনের।
ইলিনয়সে সংক্রমিতের সংখ্যা দেড় লাখ পেরিয়ে ১ লাখ ৫১ হাজার ৫৭২ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৭ হাজার ৩২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সংক্রমণে ম্যাসাসুয়েটসকে পেছনে ফেলেছে অ্যারিজোনা। যেখানে করোনাক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ প্রায় ১৩ হাজার। এর মধ্যে না ফেরার দেশে সেখানকার ২ হাজার ৩৮ জন মানুষ।
ম্যাসাসুয়েটসসে আক্রান্ত ১ লাখ ১১ হাজারের কাছাকাছি। সেখানে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ২৬৮ জনের।
সংক্রমণ লাখ ছাড়িয়েছে জর্জিয়ায়ও। এখন পর্যন্ত সেখানে করোনার শিকার হয়েছেন ১ লাখ প্রায় ৭ হাজার মানুষ। এর মধ্যে প্রাণ গেছে ২ হাজার ৯৩০ জনের।