তিনি লেবাননের একটি এলবিএসআই চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরও বলেছেন, মার্কিন সেনাবাহিনী ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চায় না। জেনারেল ম্যাকেনজি বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক অঙ্গনে প্রযোজ্য। সামরিক অঙ্গনে এর কোনও কার্যকারিতা নেই। এর আগে গতমাসেও মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর প্রধান জেনারেল ম্যাকেনজি বলেছিলেন, ইরানে সামরিক হামলা চালানোর কোনও পরিকল্পনা তার বাহিনীর নেই।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালের মে মাসে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে তার দেশকে বের করে নিয়ে তেহরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের’ ঘোষণা দেন। ট্রাম্প বলেন, চাপ প্রয়োগের ফলে ইরান সরকার তার প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বাধ্য হবে। তিনি ইরানের সঙ্গে তার ভাষায় পরমাণু সমঝোতার চেয়ে ভালো চুক্তি করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তবে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ শুরু হওয়ার পর দুই বছর পরও ট্রাম্পের আশা পূরণ হয়নি এবং তেহরানকে আলোচনার টেবিলে নেওয়া যায়নি। ইরান বলেছে, পরমাণু সমঝোতা কয়েক বছরের টানা আলোচনার ফসল। কাজেই এর চেয়ে ভালো চুক্তি সম্ভব নয়। এছাড়া, আমেরিকাকে নতুন করে আলোচনায় বসতে হলে আগে তাকে পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসতে হবে।