ডেস্ক নিউজ : ‘জমিনে উত্থান দেখেছি পতনও দেখেছি। পতন হইলে কেউ নাই, বউ ছাড়া কেউ নাই’- কথা গুলো যুবলীগের বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর। বিভিন্ন সভা সেমিনারে বক্তৃতাকালে ঠাট্টার ছলে প্রায়ই এমন কথা বলতেন তিনি। দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে মন বদলও হওয়া শুরু করেছে। কারো বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ সত্য হলে সুর পাল্টে ফেলেন তাদের স্ত্রীরাও।
সর্বশেষ ভয়ঙ্কর প্রতারণার অভিযোগ ওঠে রাজধানীর রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. শাহেদের বিরুদ্ধে। করোনা টেস্ট না করেই ফলাফল দিতো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিলগালা করা হয় প্রতিষ্ঠানটি। এরপর থেকেই হাসপাতালের মালিক শাহেদ পলাতক রয়েছেন। এরপরে কিছু না করেও সামনে চলে আসেন শাহেদের স্ত্রী সাদিয়া আরাবি রিম্মি। যদিও সবার মত তিনিও স্বামীর বিরুদ্ধে এনেছেন অভিযোগ।
স্বামী শাহেদের প্রসঙ্গে তিনি একটি গণমাধ্যমকে বলেন, অনেক দিন ধরেই তার কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে পরিবারের লোকজন নাখোশ ছিল। এ নিয়ে ২০০৮ সালের দিকে ঝামেলা হয়। এরপর ২ বছর বাপের বাড়ি ছিলেন সাদিয়া। ২০১০ সালে আবার স্বামীর সংসারে ফেরেন।
তিনি বলেন, পরিবারের সবার বিশ্বাস ছিল শাহেদ বদলে গেছে। সর্বশেষ ৩-৪ বছর ধরে বাইরে থেকে দেখে সবাই সেটাই ধারণা করেন। তবে রিজেন্টে চিকিৎসার নামে যা সামনে এলো তাতে স্পষ্ট সে বদলায়নি। শত চেষ্টা করেও তাকে বদলানো গেল না। স্বামীর এমন অপকর্মের জন্য ‘লজ্জিত ও দুঃখিত’ বলে জানান সাদিয়া।
তিনি আরো বলেন, করোনার চিকিৎসার নামে শাহেদ যা করেছে তা পীড়াদায়ক। আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে। এসব প্রতারণা তার নেশায় পরিণত হয়ে গেছে।
একইভাবে করোনার টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দিতো জেকেজি হেলথ কেয়ার। এই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফুল হক চৌধুরীকে আটকও করা হয়েছে। এর আগ পর্যন্ত স্বামীর কার্যক্রমের সাথে নানাভাবে জড়িত ছিলেন স্ত্রী ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। তবে আরিফুল হক চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের পরই ভোল পাল্টান তার স্ত্রী।
গত ২৩ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ারের সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। তখন জেকেজি হেলথ কেয়ারের অন্যতম কর্ণধার হিসেবে আরিফুল চৌধুরীর স্ত্রী ডা. সাবরিনা আরিফের নাম এলেও তিনি দাবি করছেন, এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গত দুই মাস ধরে তার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, আমাকে জড়িত করা হবে কেনো? আমি তো অনেকদিন ধরেই এর সাথে নেই।
অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গত বছর ৫ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট আটক হন। এর পর আলোচনায় আসেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন চৌধুরী। সম্রাট আটকের পর স্ত্রী দাবি করেন সম্রাটের সাথে দু বছর আলাদা থাকেন। যদিও সম্রাটের সাথে তার যোগাযোগ নেই বলে তিনি দাবি করেননি। ওই সময় তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘দুই বছর ধরে আমরা আলাদা থাকছি। তবে আমাদের সম্পর্ক রয়েছে। এই বাসাতে আমি আমার মেয়েকে নিয়ে থাকতাম।’