ডেস্ক নিউজ : জোবেদা খাতুন সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার (জেকেজি হেলথকেয়ার) চেয়ারম্যান ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক (বরখাস্ত) ডা. সাবরিনা চৌধুরী এবং তাঁর স্বামী (প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী) আরিফ চৌধুরী রিমান্ডে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) জিজ্ঞাসাবাদে করোনা পরীক্ষার নামে প্রতারণার কথা স্বীকার করে নিচ্ছেন। তবে এই অপকর্মের জন্য তাঁরা একে অন্যের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন।
সাবরিনার দাবি, জেকেজি ও ওভাল গ্রুপের অনেকেই এই অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত। আরিফ চৌধুরীর এই কর্মকাণ্ড এবং ব্যক্তিগত হয়রানির কারণে তিনি তাঁকে ডিভোর্সও দিয়েছেন। তবে আরিফ বলেছেন, সাবরিনার কারণে এই অপকর্মে জড়িয়েছেন তিনি। তদন্তকারী সূত্র জানিয়েছে, আরিফ চৌধুরী ধরা পড়ার পরই ভোল পাল্টে ফেলেন সাবরিনা। ১৫ হাজারেরও বেশি ভুয়া করোনা রিপোর্ট তৈরির সঙ্গে কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আরিফ ও সাবরিনার ওভাল গ্রুপের আরো সাত পরিচালককেও জালিয়াতির ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
গতকাল করোনা পরীক্ষার নামে জালিয়াতির মামলায় জেকেজির প্রধান নির্বাহী আরিফের চার দিনের রিমান্ড আদেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত।