এম ইসলাম দিলদার,রাজশাহীঃ রাজশাহীর বাঘা উপজেলার কিশোরপুর এলাকায় ফুটবল খেলার বিষয়কে কেন্দ্র করে বসত বাড়িতে অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুপক্ষের ৩ জন আহত হয়েছে। বৃহঃবার (২৩ জুলাই) আনুমানিক সকাল ১১টার সময় বুলবুল(২২) পিতাঃ মৃতঃ আমজের, নান্টু(২৫)পিতাঃসুরুজ, আলিফ(১৯) পিতাঃ গোলাম সহ তাদের সমবয়সী স্থানীয় ছেলেরা আলিফের বাড়ির পাশের আমবাগানে ফুটবল খেলতে যায়। খেলার এক পর্যায়ে নান্টু ও আলিফের সাথে বুলবুলের কথা কাটাকাটি হয় এবং তাৎক্ষণিক খেলা বন্ধ হয়ে গেলে তারা নিজ নিজ বাড়ি চলে যায়। থানা অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, একই দিনে বাড়িতে যাওয়ার পর আনুমানিক দুপুর ১টার সময় বুলবুল বেআইনি ভাবে ১৮-২০ জনের দলবদ্ধ হয়ে আলিফের বাড়িতে উপস্থিত হয়। আলিফ ও তার বাবাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে আলিফকে ঘর থেকে জোরপূর্বক টেনেহিচড়ে বের করে নিয়ে আসে। তারপর দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি-শোঠা দিয়ে এলোপাথাড়ি মেরে জখম করে। আলিফ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার মা বাবা ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও বেধড়ক পেটায় এবং বাড়িঘর ভাঙ্গচুর করে। ঘটনার সময় প্রতিবেশী সুজন আলী ( রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক) এগিয়ে এসে মারপিট বন্ধ করতে বললে তাকেও আক্রমণ করে এবং তার কালো রং এর ১৫০ সিসি পালসার গাড়িটি লোহার রড দিয়ে ভেঙ্গে তছনছ করে দেয়। তবে এ ঘটনায় আহত আলিফের মাথায় নয়টি সেলাই লেগেছে, সে বর্তমানে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় আহত আলিফের বাবা নিজে বাদি হয়ে কাদের মোল্লা (৫৫)(পাকুড়ীয়া ইউপি’র ৬নং ওয়ার্ড সদস্য), তাজমুল(৪০) পিতাঃ কালাম,বানিজ(৪০) পিতাঃ মৃতঃ নাজিম মন্ডল সর্ব সাং কিশোরপুর বিল পাড়া সহ মোট ১৮ জন কে আসামী করে বাঘা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
১নং আসামী কাদের মোল্লা বলেন, এ ঘটনা সম্পপর্কে তিনি কিছুই জানিনা,ঘটনা স্থলে ছিলাম না। তবে পুলিশ আসার পরে শুনেছি। বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে একটি ভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।