শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মামলা করা হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক : আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মামলা হয়েছে। আমার সাহসী হিরো আলম ছবিতে জুনিয়র মিশা অভিনয় করেছে সেটা এক বছর আগে। এখন এসে বলছে আমার কাছে টাকা পায়। এতোদিন কোথায় ছিল। আসলে সে কোনো টাকাই আমার কাছে পায় না। কয়দিন আগে গাজীপুর গেছিল আমার শুটিং স্পটে। সেখানে ঝামেলা করছিল। আমি চলে যেতে বলার পরেও যাচ্ছিল। পরে আমি তাকে দুইটা থাপ্পড় মারছি। এই পর্যন্তই। কিন্তু এফডিসির সামনেও সে ঝামেলা শুরু করেছিল। মামলা করেছে- এটা উদ্দেশপ্রণোদিত। কেউ টাকা পেলে আমি কেন দেবো না? 

কথাগুলো বলছিলেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। শুটিংয়ের টাকা না দিয়ে মারধর করার অভিযোগে আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন জুনিয়র আর্টিস্ট নয়ন মণ্ডল ওরফে জুনিয়র মিশা। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুর রহমানের আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।  নয়ন মণ্ডল ওরফে জুনিয়র মিশা জানান, তিনি হিরো আলমের সঙ্গে ‘সাহসী হিরো আলম’ ছবিতে সেকেন্ড ভিলেন (দ্বিতীয় খলনায়ক) হিসেবে অভিনয়ের জন্য ১৫ হাজার টাকা চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী গাজীপুরের মনপুরা শুটিং স্পটে অভিনয় করতে যান। যেখানে কিছু দিন অভিনয় করেন।

এর মধ্যে ঢাকায় আসার সময় হিরো আলম তার হাতে ৫০০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে বলেন, টাকা পরে দেব। নয়ন বাসায় এসে কিছুদিন পর হিরো আলমের মোবাইলে ফোন দেন। তখন হিরো আলম ফোনে নয়নকে বলে কিসের টাকা পাবি তুই। তুই কোনো টাকা পাবি না। এরপর থেকে হিরো আলম আর নয়নের ফোন ধরত না। তারপর নয়ন গাজীপুরে ছবির শুটিংস্থলে যান। সেখানে নয়ন হিরো আলমের কাছে টাকা চাইলে শুটিংয়ের দা দিয়ে আঘাত করে। কিল-ঘুষি মারে। নয়ন সেখান থেকে ফিরে আসেন।

এরপর গত ১৯ জুন নয়ন এফডিসিতে মানববন্ধনে অংশ নিতে যান। সেখানেও হিরো আলম তাকে মারধর করেন। হিরো আলমের লোকজনের ভয়ে নয়ন জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছেন। তাই তিনি আদালতে মামলাটি করেন। তবে হিরো আলম এসব অভিযোগকে অস্বীকার করে শুক্রবার সকালে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। জুনিয়র মিশা যে মামলা করেছে তার পেছনে কলকাঠি নাড়ছে অন্য কেউ।’ এদিকে আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাকে তদন্ত করে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

এই বিভাগের আরো খবর