নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা আতঙ্কে দেশজুড়ে সরকার ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করলেও সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মচারীরা। এমন অভিযোগ উঠে আসে বিভিন্ন গনমাধ্যমে। নিউজে উঠে আসে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার স্বেচ্ছাচারিতা তার কার্যালয়ের ১০ জন কর্মচারীকে নিজ বাড়িতে সার্বক্ষণিক কাজ করাচ্ছেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা। এতে করে এসব কর্মচারীদের মাঝে দেখা দিয়েছে যেমন করোনা আতঙ্ক, তেমন বাড়িতে থাকতে না পেরে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। এছাড়াও রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তার আহম্মদ নিয়ামুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, করোনা আতঙ্কের কারণে দেশজুড়ে জরুরী সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারী সকল প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এই ছুটি একদিনের জন্যেও এখনো ভোগ করতে পারেননি রাজশাহী বিভাগীয় বন বিভাগের ১০ কর্মচারী। তিনি তাঁর কার্যালয়ের জন্য একজন পিয়ন ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু সেখানে তিনি ১০ জন কর্মচারীকে দিয়ে বাড়ির কাজ করাসহ ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। এছাড়া সরকারি গাড়িটি অধিকাংশ সময়ই তাঁর বাড়ির কাজে ব্যবাহর করছেন। এই কার্যালয়ের সরকারি তিনটি গাড়ি ব্যবহার হয় বন কর্মকর্তা, তাঁর স্ত্রী ও কন্যাদের ব্যক্তিগত কাজে।
সরেজমিনে এই সব অভিযোগ বিষয়ে জানতে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে তার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় কর্মচারীরাও যেন অসহায় তার কাছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী বলেন, বর্তমান স্যার অন্য রকম, অফিসে তার ইচ্ছায় শেষ ইচ্ছা এখানে তার মন মানিয়ে সবাইকে চলতে হয়। এছাড়াও অভিযোগ নিয়ে দূর থেকে আসা এক ব্যক্তি আক্ষেপ নিয়ে তার সহকারীকে বলেন, আজকের পর এই স্যারের সাথে আর দেখা করতে আসবোনা দুইদিন ঘুরে ঘুরে দেখা হলোনা।আরোও কয়েক জন বলেন বিভাগীয় পর্যায়ে এমন অফিসার কেন দিয়েছে এটা আমাদের বৌধগম্য নয়। এছাড়াও এর আগে এসব অভিযোগ বিষয়ে বিভিন্ন ভাবে সাংবাদিকরা দেখা করার জন্য ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে গত মঙ্গলবার সাংবাদিকরা তার অফিসে গেলে তথ্য না দিয়ে উল্টো তার পিএকে দিয়ে টাকা পাঠিয়ে চা খেয়ে নিতে বলেন। আজ এ করোনাকালে পরিছন্ন নগরীতে বিভাগীয় পর্যায়ের বন কর্মকর্তার এমন অদ্ভুত আচরণে হতবাক সকলে।