মঙ্গলবার, ১২ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রিজেন্ট ও জেকেজি সম্পর্কে যা জানি তা বলেছি : আবুল কালাম আজাদ

ডেস্কনিউজঃ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ‘রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি হেলথ কেয়ার সম্পর্কে যা জানি তা দুদকের অনুসন্ধান দলকে বলেছি। তদন্তাধীন বিষয় সম্পর্কে এ মুহূর্তে আমার পক্ষে এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।’

আজ বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয় থেকে বেরিয়ে অধ্যাপক আজাদ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

আবুল কালাম আজাদ আরো বলেন, ‘রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি হেলথ কেয়ারের বিষয়ে দুদক তদন্ত করছে। সাবেক মহাপরিচালক হিসেবে আমি কী জানি, তার জন্য দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা আজ আমাকে আসার অনুরোধ করেছিলেন। আমি যা জানি, তা তাদের বিস্তারিত বলেছি।’

আজ সকাল সাড়ে ৯টার কিছু পরে টানা দ্বিতীয়দিনের মতো দুদক কার্যালয়ে আসেন আবুল কালাম আজাদ। এরপর সকাল ১০টা থেকে দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যার নেতৃত্বাধীন একটি দল তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।

এর আগে গতকাল বুধবার সকালে নভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের মাস্ক-পিপিই ক্রয়ে কেলেঙ্কারির ঘটনায় জবাব দিতে দুদকে যান ডা. আবুল কালাম আজাদ।

দুটি অভিযোগ অনুসন্ধানে বক্তব্য নেওয়ার জন্য গত ৬ আগস্ট আবুল কালাম আজাদকে তলব করেছিল দুদক। তলবের চিঠিতে আবুল কালাম আজাদকে ১২ ও ১৩ আগস্ট হাজির হতে বলা হয়।

সমালোচনার মুখে ডা. আবুল কালাম আজাদ গত ২১ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেন। প্রক্রিয়া শেষে ২২ জুলাই তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়। পরের দিন ২৩ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন ডিজি হিসেবে নিয়োগ পান ঢাকা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর মাস্ক ও পিপিই নিয়ে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের প্রতিবেদন আসতে থাকে গণমাধ্যমে। এর মধ্যেই দেশজুড়ে আলোচনায় আসে রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি হেলথ কেয়ারের মতো প্রতিষ্ঠানের করোনা পরীক্ষা নিয়ে ভুয়া রিপোর্ট প্রদানের বিষয়টি।

একপর্যায়ে অনুমোদনহীন রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চুক্তির বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ডিজি ডা. আবুল কালাম আজাদকে কারণ দর্শানোর নোটিশও (শোকজ) দেওয়া হয়। এর জের ধরে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর আবুল কালাম আজাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এই বিভাগের আরো খবর