ডেস্ক নিউজ : প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী তাণ্ডবে দিশেহারা সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো। তবে, এখনও সুখবর মিলেনি কার্যকরি ভ্যাকসিন আবিষ্কারে। এমতাবস্থায় নমুনা পরীক্ষা কমিয়ে অনেকটা স্বস্তিতে বাংলাদেশ। তারপরও দীর্ঘ হচ্ছে করোনাক্রান্ত রোগীর মিছিল। সুস্থতা বাড়লেও থেমে নেই প্রাণহানি।
দেশে আগের তুলনায় নমুনা পরীক্ষার হার আরও কমেছে। ফলে শনাক্তও কম হচ্ছে। তবে, প্রাপ্ত নমুনায় শনাক্তের হার একেবারেই কম নয়। এর মধ্যে করোনাক্রান্তদের তালিকায় বরাবরই শীর্ষে রাজধানী ঢাকা। এরপরই চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা।
দেশে এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৬৬টি। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ৯ হাজার ৬৩৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আর পরীক্ষা করা হয় ১০ হাজার ১৮টি।
এর মধ্যে গতকাল রোববার পর্যন্ত ২ লাখ ৭৬ হাজার ৫৪৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে না ফেরার দেশে ৩ হাজার ৬৫৭ জন। তবে, সুস্থতা লাভ করেছেন ১ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫০ জন রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ১ হাজার ৩১৫ জন। বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ১৪ হাজারের কাছাকাছি।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়। যাদের দু’জনই ছিলেন বর্তমান করোনায় ছেয়ে যাওয়া নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা। অন্যজন মাদারীপুরের। শুরুতে বিদেশফেরতদের সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ালেও এখন তা প্রকট আকার ধারণ করেছে অবাধ চলাফেরা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে।
গতকাল রোববার পর্যন্ত শুধু ঢাকা জেলাতেই আক্রান্ত ৭৪ হাজার ৬৭৫ জন। আর ঢাকার বাহিরে চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ৮০৯ ও কুমিল্লায় ৬ হাজার ১৯৩ জন।
এদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিদ্দিক আহম্মেদ মারা গেছেন। রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মতুর্জা ও দলীয় নেতাকর্মীরা।
লক্ষীপুর জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল করোনায় উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। গাজীপুরে নতুন তিনজনসহ আক্রান্ত ৪ হাজার ৫১১ জনে দাঁড়িয়েছে। সুস্থ হয়েছে ২ হাজার ৯৭১ জন। উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যাংক ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ নতুন করে ৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এতে করে জেলায় সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫৬ জনে। এর মধ্যে ৩০৬ জন সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন।
এছাড়া, দেশের প্রায় সব জেলায় কমবেশি সংক্রমণ আগের তুলনায় বেড়েছে। এর মধ্যে , নারায়ণগঞ্জ, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, বগুড়া, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশালে ও কক্সকাবাজারে আক্রান্তের হার বেশি। তবে, সুস্থতাও কম নয়।
আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসক, আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য, স্বাস্থ্যকর্মীরাও রয়েছেন। এমন অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মানা ও অপ্রয়োজনে বাহিরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।