শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবারের হজে ১০ হাজারের বেশি লোক নয় : সৌদি হজ মন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চলতি বছর আসন্ন হজে ১০ হাজারের বেশি লোককে জমায়েত হতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন সৌদির ওমরাহ ও হজ বিষয়ক মন্ত্রী ড. মুহাম্মদ সালেহ বেন্তেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী আল-রাবিয়াহ। গত সোমবার সীমিত পরিসরে হজ আয়োজনের ঘোষণা আসার পর মঙ্গলবার (২৩ জুন) যৌথ ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে এমনটিই জানিয়েছেন তারা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. তৌফিক আল-রাবিয়া বলেন, ‘সৌদি আরব মারাত্মক আকারে করোনা ছড়িয়ে পড়ায় আসন্ন হজযাত্রায় বেশ কয়েকটি কঠোর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং প্রোটোকল প্রয়োগ করা হবে।’

বাহিরের কোন দেশের হজযাত্রীদের এ বছর হজ করতে দেওয়া হবে না নিশ্চিত করে তিন বলেন, ‘এই বছর হজযাত্রীদের বয়স ৬৫ বছরের নিচে হতে হবে এবং দীর্ঘ কোন রোগে ভুগছেন এমন ব্যক্তিকে অনুমতি দেওয়া হবে না।’

হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভগুলির মধ্যে একটি এবং প্রত্যেক সামর্থ্যবান ও সক্ষম দেহযুক্ত মুসলমানদের জীবনে একবার আবশ্যক, তাই এই বছর দেশের অভ্যন্তরে ‘সীমিত সংখ্যক’ লোককে স্বাগত জানাবে, এমন ঘোষণা আসে গত সোমবার সৌদি কর্তৃপক্ষের।

প্রতি বছর প্রায় বিশ থেকে পঁচিশ লক্ষ ধর্মপ্রাণ মুসলিম মক্কা ও মদীনায় ইসলামের পবিত্রতম স্থানগুলি পরিদর্শন করতে সৌদি আরবে অবস্থান করেন। যা মহামারি করোনা সংক্রমণের কারণে এই বছর সম্ভব হচ্ছে না।

এইবারের হজে যারা অংশগ্রহণ করবে তাদের স্বাস্থ্য ও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সকল ধরনের নিরাপত্তা দিতে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়কে সহযোগিতা করতে পরিকল্পনা তৈরি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ডা. আল-রাবিয়াহ আরও বলেন, ‘আমরা নিরাপদ হজ মৌসুম নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক এবং সতর্কতামূলক সবধরনের ব্যবস্থা এবং প্রোটোকল বিকাশের জন্য ওমরাহ ও হজ মন্ত্রণালয়ের সাথে যৌথভাবে কাজ করছি।’

প্রোটোকলে রয়েছে-

১. দশ হাজারের বেশি লোককে হজযাত্রা করতে দেওয়া হবে না।

২. সকল তীর্থযাত্রীদের পবিত্র স্থানে পৌঁছানোর আগেই তাদের পরীক্ষা করা হবে।

৩. শুধুমাত্র ৬৫ বছরের কম বয়সীদের এই বছর হজ পালনের অনুমতি দেওয়া হবে।

৪. সকল হজযাত্রীকে হজ্জের অনুষ্ঠান শেষ করার পরে স্ব-বিচ্ছিন্নতার জন্য বলা হবে।

৫. হজযাত্রা শুরুর আগে সকল কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।

৬. সমস্ত তীর্থযাত্রীর স্বাস্থ্যের অবস্থা প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ করা হবে।

৭. হজযাত্রা চলাকালীন যে কোনও জরুরি অবস্থার জন্য একটি হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে।

৮. সামাজিক দূরত্বের ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে।

 

এই বিভাগের আরো খবর